বুধবার, ১৬ Jul ২০২৫, ০১:৩১ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদঃ
অনলাইন ভিত্তিক গণমাধ্যম “৭১সংবাদ২৪.কম” এ প্রতিনিধি আহ্বান করা হয়েছে। আগ্রহীগণ জিবনবৃত্তান্ত পাঠাতে 71sangbad24.com@gmail.com -এ মেইল করুন
সংবাদ শিরোনামঃ
ধুনটে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত নীলফামারীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ধুনটে হ্যান্ডকাপসহ পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার পীরগঞ্জে বিএনপি’র মা সমাবেশ অনুষ্ঠিত পীরগাছা প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠণ নড়াইলে খুলনার রেঞ্জ ডিআইজিকে ফুলেল শুভেচ্ছা রাণীশংকৈলে ৭৫ জন গ্রাম পুলিশ পেলেন বাই-সাইকেল ও পোশাক আজকের গাছ- আগামীর নিঃশ্বাস- বৃক্ষরোপনে ইউএনও রুবেল রানা ইছামতী নদীতে থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার কিশোরগঞ্জকে গ্রীন ও ক্লিন কিশোরগঞ্জ গড়তে চাই- নবাগত ইউএনও নীলফামারীতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইমারত নির্মাণ তারাগঞ্জে একই ব্যক্তির ৬ গরু চুরি নড়াইলে এক গৃহবধূর তিন সন্তান জন্ম ধুনটে বসতভিটা অবৈধ দখল চেষ্টায় থানায় অভিযোগ আবু সাঈদের রক্তের সাথে বেইমানী করবেন না- এটিএম আজহার ফুলবাড়ীর দৌলতপুরে জমি জমার বিরোধে মারপিট ১৭ বছর পর রংপুরে জামায়াতে ইসলামীর জনসভা অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে বিএনপি নেতা জুলাই বিপ্লবী শহীদের স্মরণে বৃক্ষরোপণ ও আলচনা ত্রিশালে নিখোঁজ ব্যক্তির লাশ মিলল পুকুরে

শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে সেতুবন্ধন পাঠাগার

নাসির উদ্দিন শাহ্- নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ সারিবদ্ধভাবে বসে আছে তারা। বইয়ে চোখ বুলাচ্ছে অনেকে। আবার কেউ আলমারী থেকে তার পছন্দের বই খুঁজতে মগ্ন।

এভাবে প্রতিদিন স্কুল-কলেজ শেষে দলে দলে শিক্ষার্থীরা ও এলাকার ছেলেমেয়েরা এখানে এসে মনের আনন্দে তার পছন্দের বই পড়ে থাকেন।

তরুণ ও যুবসমাজকে বই পড়ায় অভ্যস্ত করার উদ্দেশ্যেই নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার প্রত্যন্ত পল্লীতে গড়ে তোলা হয়েছে সেতুবন্ধন পাঠাগার।

সুস্থ বিনোদন ক্ষেত্র তৈরি হওয়ায় সন্তানদের নিয়ে বেজায় খুশি এলাকাবাসী। তারা চান প্রতিটি গ্রামে গড়ে উঠুক সেতুবন্ধনের মতো পাঠাগার। এতে ভবিষ্যত প্রজন্ম সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে এবং সমাজ থেকে অপরাধ প্রবণতা কমবে বলে তারা মনে করেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়- সৈয়দপুর উপজেলার খাতা মধুপুর ইউনিয়নের ময়দানপুর খালিশা গ্রামে অবস্থিত পাঠাগারের প্রতিটি খাপে সাজানো আছে হরেক রকম বই। আছে ছোট গল্প, ছড়া, প্রবন্ধ, উপন্যাস, বিজ্ঞান, সহ অনেক কিছু। লাইব্রেরীর এক পাশে গড়ে তোলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার।

পছন্দের বই বসে পড়ার জন্য আছে সারিবদ্ধ চেয়ার টেবিল। পাঠাগারে সেলফে গাদাগাদি করে সাজানো হরেক রকম বই। তাই পছন্দের বই খুঁজে পেতে অবশ্য একটু বেগ পেতে হয় বই প্রেমীদের। পাশাপাশি তিনটি টেবিল একসাথে লাগানো। আর চারপাশ দিয়ে প্লাস্টিকের চেয়ার রাখা হয়েছে। সেখানে বসেই পছন্দের বই পাঠ পল্লীতে গড়ে তোলা হয়েছে সেতুবন্ধন পাঠাগার।

সুস্থ বিনোদন ক্ষেত্র তৈরি হওয়ায় সন্তানদের নিয়ে বেজায় খুশি এলাকাবাসী। তারা চান প্রতিটি গ্রামে গড়ে উঠুক সেতুবন্ধনের মতো পাঠাগার। এতে ভবিষ্যত প্রজন্ম সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে এবং সমাজ থেকে অপরাধ প্রবণতা কমবে বলে তারা মনে করেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়- সৈয়দপুর উপজেলার খাতা মধুপুর ইউনিয়নের ময়দানপুর খালিশা গ্রামে অবস্থিত পাঠাগারের প্রতিটি খাপে সাজানো আছে হরেক রকম বই। আছে ছোট গল্প, ছড়া, প্রবন্ধ, উপন্যাস, বিজ্ঞান, সহ অনেক কিছু। লাইব্রেরীর এক পাশে গড়ে তোলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার। পছন্দের বই বসে পড়ার জন্য আছে সারিবদ্ধ চেয়ার টেবিল।

পাঠাগারে সেলফে গাদাগাদি করে সাজানো হরেক রকম বই। তাই পছন্দের বই খুঁজে পেতে অবশ্য একটু বেগ পেতে হয় বই প্রেমীদের। পাশাপাশি তিনটি টেবিল একসাথে লাগানো। আর চারপাশ দিয়ে প্লাস্টিকের চেয়ার রাখা হয়েছে।

সেখানে বসেই পছন্দের বই পাঠে মগ্ন থাকে ক্ষুদে পাঠকরা। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত সর্বসাধারনের জন্য পাঠাগার খোলা থাকে। তবে সবচেয়ে বেশি ভিড় হয় স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরতির সময়। শিক্ষার্থীরা এসময় পাঠাগারে এসে বই পড়ে।

বাড়িতেও পড়ার জন্য বই নিয়ে যায়। সবমিলিয়ে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে গড়ে উঠা এই পাঠাগারটি বইয়ের সাথে শিক্ষার্থীদের বন্ধন আরো দৃঢ় করেছে।

ময়দানপুর গ্রামের ৮ম শ্রেনির সাদিয়া জানায়- স্কুল ছুটির পর নিয়মিত এখানে বসে পছন্দের বই পড়ি, ছোট গল্প’র বই পড়ছে অনেক ভাল লাগে তার। একই এলাকার মুরব্বী সলিমুদ্দিন এখানে বসে প্রতিদিন পড়েন খবরের পত্রিকা।

জানা গেছে, সেতুবন্ধন নামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি পাখি ও প্রকৃতি সুরক্ষায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। তাদেরই প্রচেষ্টায় ২০১৭ইং সালে উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের খালিশা গ্রামে সেকেন্দার আলীর বাড়ির উঠোনে গড়ে তোলা হয় পাঠাগারটি। খালিশা বেলপুকুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ সংলগ্ন তিন শতক জমির উপর টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি করা ঘরে চলে পাঠাগারের কার্যক্রম।

শুরুতে এর পাঠক সংখ্যা হাতেগোনা হলেও বর্তমানে প্রায় ছয় শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়মিত আসা-যাওয়া করছে এই পাঠাগারে। প্রতিষ্ঠিত লেখক, কবি ও সাহিত্যানুরাগীদেও সহায়তায় বর্তমানে পাঠাগারে শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, ধর্মীয় ও বিজ্ঞানসম্মত প্রায় দুই সহ¯্রাধিক বই স্থান পেয়েছে।

সেতুবন্ধন পাঠাগারে নিয়মিত পত্রিকা পড়ারও ব্যবস্থা আছে। প্রতিদিন জাতীয়-স্থানীয় একাধিক পত্রিকা রাখা হয় ডেস্কে। এর ফলে গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থী ও পাঠকরা খুব সহজেই দেশবিদেশের খবরাখবর পেতে পারে।

এছাড়াও সেতুবন্ধন পাঠাগারে নিয়মিত কবিতা চর্চা, সাহিত্য সভা ও মাসিক গল্প লেখা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। আর এসব প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার হিসেবে মহামূল্যবান পুরস্কার বই তুলে দেওয়া হয়। বর্তমানে পাঠাগারটিকে আধুনিকায়নের কাজ চলছে। সেইসাথে আরো বই সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।

সেতুবন্ধন পাঠাগারে নিয়মিত বই পড়তে আসা স্কুল ছাত্রী জুই জানায়- এখানে আমরা ছড়া ও গল্পের বই পড়ি। পাশাপাশি পত্রিকার মাধ্যমে বিভিন্ন খবরাখবরও জানতে পারি। সেতুবন্ধন পাঠাগার নির্মাণ হওয়ায় আমরা শিক্ষার্থীরা অনেক উপকৃত হয়েছি।

সেতুবন্ধন পাঠাগারের আরেক নিয়মিত পাঠক সুজন জানা- আমরা এখন অবসর সময়টা পাঠাগারে বিভিন্ন শিশুতোষ ছড়া ও গল্পের বই পড়ে কাটাই।

সেতুবন্ধন পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা আলমগীর হোসেন জানান- আমরা এই পাঠাগারের মাধ্যমে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি। গ্রামাঞ্চলের পাঠকদের পর্যাপ্ত বই পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। এজন্য আমরা প্রচুর পরিমাণে বইয়ের সমাহার ঘটাতে চাই। আমাদের পাঠাগারকে একটি আদর্শ পাঠাগারে রূপ দিতে চাই। এজন্য আমাদের সকলের কাছে সহযোগিতা কাম্য।

সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ শামীম হুসাইন সেতুবন্ধনের এই নতুন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন- স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেতুবন্ধনের কার্যক্রম বরাবরই প্রশংসনীয়। সেতুবন্ধন পাঠাগার এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। সেতুবন্ধনের স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রমে সৈয়দপুর উপজেলা প্রশাসন সার্বিক সহযোগিতা করবে বলে তিনি জানান।

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

©2019 copy right. All rights reserved 71sangbad24.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com