সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:৫৩ পূর্বাহ্ন
শাকিল ইসলাম- ক্রাইম প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাআঙ্গুলি দেখিয়ে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করার অভিযোগ উঠেছে ভেড়ভেড়ি কামাল উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সুপারের বিরুদ্ধে। গত (১৩ অক্টোবর) নিয়োগ পরীক্ষা নেয়ার কথা থাকলেও সাংবাদিকে উপস্থিতি টের পেয়ে গাড়ী থেকে না নেমে ডিজির প্রতিনিধি চলে যান।
পরবর্তীতে আবারও পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়। গতকাল শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সকালে মোট ৩টি পদে অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার, নিরাপত্তা প্রহরী ও আয়া পদে লোক দেখানো এ নিয়োগ সম্পন্ন করেন তারা। পত্রিকায় যেন খবর প্রকাশ না হয় এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের টাকাা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্ঠা করেন উক্ত প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক মোখলেছার রহমান।
প্রতিষ্ঠান গিয়ে দেখা যায়, সকাল ৮টায় পরীক্ষা নেয়ার কথা থাকলেও ৮টা ত্রিশ মিনিট পর্যন্ত কেউ মাদ্রাসায় উপস্থিত হননি। সকাল প্রায় ৯টার সময় ডিজির প্রতিনিধি মাদ্রসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রাজিবুল আহসান ও মাদ্রাসা সুপার নূহু ইসলাম একটি মাইক্রোবাসে প্রতিষ্ঠানে আসেন।
এসেই তড়িঘড়ি করে পরীক্ষা নেয়া শুরু করেন তারা। নিয়োগ পরিপত্রে বলা আছে প্রতিষ্ঠানে এসে পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরি করতে হবে। কিন্তু তারা আগে থেকেই প্রশ্নপত্র তেরি করে নিয়ে এসেছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। পরীক্ষা শুরুর আগে ২ জন প্রার্থী ছাড়া অন্যদের প্রবেশপত্র সাথে ছিলনা, কোন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেখে চাকরীর আবেদন ও পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছেন জানতে চাইলে কোন উত্তর সাংবাদিকদের দিতে পারেনি চাকরি প্রত্যাশীগণ।
একটি সূত্র জানায়, ডিজির প্রতিনিধি (১৯ অক্টোবর) রাতে সৈয়দপুর এয়ারপোর্টে অবতরণ করেন। রাত্রীযাপনের জন্য নীলফামারী সার্কিট হাউসের উদ্দেশ্যে রওনা হন এবং রাতের মধ্যে ভেড়ভেড়ী কামাল উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মোখলেছার রহমান ও সুপারের উপস্থিতে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরি করেন তারা।
আজ (২০ অক্টোবর) সকালে পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগ দেয়ার জন্য উত্তরপত্র রেডি করা হয়। যা নিয়োগ পরীক্ষার সময় খাতা পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একজন।
পুটিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সায়েম লিটন জানান, এই প্রতিষ্ঠানে কোন ছাত্রছাত্রী দেখিনা আমরা। এখানে ওনারা সবাইকে চাকরি দিতে চায় টাকা নেয়। আপনারা রিপোর্ট করেন উদ্ধোর্তন কর্মকর্তাদের আমি এর জবাব দিব। তিনি আরও বলেন, তিনটি পদের বিপরীতে টাকা নিয়েছেন ১৩ জনের কাছে।
এবিষয়ে মাদ্রাসা সুপার নূহ ইসলামের কাছে মোবাইল ফোনে (০১৩০৯১২৫০৩৮) জানতে চাইলে, সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ব্যস্ত আছি বলে তিনি সংযোগ বিছিন্ন করেন। টাকার বিনিময়ে পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগের ব্যাপারে জানতে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রাজিবুল আহসানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
অনিয়মের অভিযোগ থাকার পরেও আপনি কিভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলেন উক্ত বিষয়ে জানতে চাইলে, ডিজির প্রতিনিধি মাদ্রসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম কোন সদউত্তর না দিয়ে তিনি দ্রুত মাইক্রোবাসে উঠে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।