শনিবার, ১২ Jul ২০২৫, ১২:৫২ অপরাহ্ন
রুহুল আমীন খন্দকার- বিশেষ প্রতিনিধিঃ
দেশ ও জাতির কল্যানার্থে বিরতিহীন অভিযানের মাধ্যমে মাদক, সন্ত্রাস, অস্ত্র ও জঙ্গিবাদ নির্মূল’সহ দেশের সার্বিক শান্তি শৃঙ্খলা বজায়ের লক্ষ্যে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট। এরই ধারাবাহিকতাকে অক্ষুণ্ণ রাখতে সারা দেশব্যাপী পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট কতৃক যথারীতি অভিযান চলমান রয়েছে।
গৃহবধূকে ধর্ষণ’ আদালতে সাজা হলো দশ বছরের। সেই সাজা এড়াতে ভারত হয়ে পাকিস্তানের করাচি। কেটে গেছে দীর্ঘ ৩২ বছর, সম্প্রতি দেশে ফিরে ছদ্মবেশ সাজাপ্রাপ্ত আসামির। তবে শেষ রক্ষা হয়নি তার।
ঘটনা ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চরদরবেশ ইউনিয়নের পশ্চিম দরবেশ গ্রামের। এই গ্রামেরই আবুল কামেমের ছেলে আইয়ুব আলি। ধর্ষণ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত এ ব্যক্তিকে ধরার পর সাজাভোগে আদালতের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে কারাগারে।
সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশ জানায়- ধর্ষণ মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আইযুব আলীকে গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৯৮৯ইং সালে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ফেনীর আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগী সেই নারী।
তদন্ত শেষে আইযুব আলীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। পরে তার অনুপস্থিতিতে ফেনীর জেলা ও দায়রা জজ আদালত তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন। ওই সময় আইয়ুব আলীর বয়স ছিল আনুমানিক ২০/২২ বছর।
ধর্ষণ মামলায় দণ্ডিত হওয়ার পর ওই সময় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করলে আইযুব আলী ভারত হয়ে পাকিস্তানে পালিয়ে যান। দেশটির করাচি শহরে ঠাঁই নেন। সেখানে দীর্ঘদিন থাকার পর গত বছর এলাকায় এসে ছদ্মবেশে লুকিয়ে থাকেন।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদ হোসেন দাইয়ান বলেন- আইযুব আলীকে আটকের পর তিনি তার পরিচয় গোপন করে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করেন। পুলিশের জেরার মুখে বেরিয়ে আসে আসল পরিচয়।
আজ মঙ্গলবার ১২ই জুলাই ২০২২ইং তারিখ দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাজাভোগের জন্য পুলিশ হেফাজতে আদালতের মাধ্যমে ফেনী জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।