রুহুল আমীন খন্দকার- বিশেষ প্রতিনিধিঃ
র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র‍্যাব নিয়মিত জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, অস্ত্রধারী অপরাধী, ভেজাল পণ্য, ছিনতাইকারীসহ মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আসছে।

এরই ধারাবাহিকতায় সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্প, র‍্যাব-৫, রাজশাহীর একটি অপারেশন দল অদ্য গতকাল রবিবার ২৯শে মে ২০২২ইং তারিখ সন্ধ্যা ৬টা ৩০ ঘটিকায় বিশেষ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম থানাধীন বনপাড়া বাইপাস মোড়ে চেক পোষ্ট বসিয়ে কোম্পানী উপ-অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ রফিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে একটি মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযান চলাকালীন সময় যথাক্রমে, (ক) হেরোইন- ৩১০ গ্রাম, (খ) মোবাইল ফোন- ৩টি (গ) সিমকার্ড- ৬টি উদ্ধার পূর্বক আসামী- মোঃ জাকির হোসেন(৩৫), পিতা- মোঃ লোকমান আলী, মাতা- খালেদা বেগম, স্থায়ী সাং- রাণী নগর, থানা ও জেলা- চাপাইনবাবগঞ্জ (এ/পি- সাং- হেতেম খাঁ ছোট মসজিদ মেস, হেতেম খাঁ, ওয়ার্ড নং- ১০ (পার্ট), থানা- বোয়ালিয়া, জেলা- রাজশাহী মহানগর) কে হাতেনাতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়- সে জব্দকৃত আলামত হেরোইন বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিজ হেফাজতে রাখিয়া ছিল বলিয়া উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করেন। সে স্বীকার করে যে পূর্বেও দেশের বিভিন্ন স্থানে হেরোইন ক্রয়-বিক্রয় করেছে।

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় আটককৃত মাদক কারবারি ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম থানায় দেশের প্রচলিত মদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, উপরোক্ত ঘটনায় র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) এর বিরতিহীন চলমান অভিযানে ৩১০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার তথা ১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারের বিষয়টি সিপিসি-২ নাটোর, র‍্যাব-৫, কতৃক ই-মেইল যোগে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই গণমাধ্যম কর্মীকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

ইতোমধ্যেই র‍্যাবের পক্ষ থেকে অপরাধীদের কঠোর হুশিয়ারী দিয়ে জানানো হয়- দেশের সার্বিক শান্তি শৃঙ্খলা বজায়ের লক্ষ্যে অবৈধ অস্ত্র-মাদকদ্রব্য উদ্ধার থেকে শুরু করে সকল প্রকার অরাজকতাকে রুখে দিতে র‍্যাব বদ্ধপরিকর। এ ছাড়াও র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের জিরো টলারেন্স ঘোষণার পাশাপাশি অপরাধীদের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান গুলো চলমান রেখেছেন।