শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৩ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদঃ
অনলাইন ভিত্তিক গণমাধ্যম “৭১সংবাদ২৪.কম” এ প্রতিনিধি আহ্বান করা হয়েছে। আগ্রহীগণ জিবনবৃত্তান্ত পাঠাতে 71sangbad24.com@gmail.com -এ মেইল করুন
সংবাদ শিরোনামঃ
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে প্রতিপক্ষ কর্তৃক অপরিপক্ক ধান কর্তন পাবনায় কিশোর কন্ঠ মেধাবৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত নড়াইলে ধানখেত থেকে ১ শিশুর মরদেহ উদ্ধার কুমিল্লায় র‌্যাবের অভিযানে ৩ মাদক ব্যবসায়ী আটক রাণীশংকৈলে মাসিক আইনশৃংখলা কমিটির সভা সম্পন্ন পীরগঞ্জে ছাত্র-জনতার ৩ দফা দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজে নবীন বরণ সম্পন্ন কিশোরগঞ্জে লিশাদ হত্যার বিচার ও সুষ্ঠ তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন ট্রাক চাপায় সাংবাদিক আহত- ট্রাক আটকাতে পথচারী নিহত কুমিল্লায় র‌্যাব এর অভিযানে গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক আসামে সার্ক শীর্ষ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক মহাসম্মেলন সম্পন্ন রাণীশংকৈলে কৃষকেদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ রাজশাহী রেসিডেন্সিয়াল কলেজে নবীন বরণ ও সংবর্ধনা পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীকে জোড়পূর্বক ছাড়পত্র প্রদান পাবনায় ঘর বাড়ী উচ্ছেদ করে যুবদল নেতার জমি দখল ফুলবাড়ীতে সাংবাদিকদের সাথে পুলিশের মত বিনিময় কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের ৩ দিনপর যুবকের লাশ উদ্ধার, আটক-১ ধুনটের শাকদহ বিলের পানি নিষ্কাশনের কারণে ভাঙ্গন ঝুঁকিতে গুচ্ছগ্রাম উপদেষ্টা পরিষদে উত্তরবঙ্গের কেউ না থাকায় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ তারাগঞ্জ উপজেলা জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কমিটি গঠন

নড়াইলের মধুমতীতে ভাঙনের মুখে ব্রিটিশ আমলে স্থাপিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

উজ্জ্বল রায়- নড়াইল জেলা প্রতিনিধিঃ
নড়াইলের মধুমতীতে ভাঙনের মুখে ঐতিহ্যবাহী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৫ইং সালে। তিন একর জমিতে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টিতে একাডেমিক ভবন ছাড়াও তখন ছিল বিশাল খেলার মাঠ। তবে ১৯৯০ সালে মাঠসহ বিদ্যালয়টি মধুমতী নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে যায়।

এরপর বিদ্যালয়টি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়। উজ্জ্বল রায় জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে জানান- বর্তমানে সেই ভবনটিও মধুমতী নদীর ভাঙনের কবলে পড়েছে। বিদ্যালয়টির নাম মাকড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামে মধুমতী নদীর তীরে এই বিদ্যালয়ের অবস্থান।

নদীভাঙন বিদ্যালয়ের কাছে চলে আসায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের শঙ্কা, যেকোনো মুহূর্তে বিদ্যালয়টি নদীগর্ভে হারিয়ে যেতে পারে। ভাঙনের কারণে ওই এলাকার মাকড়াইল, কাশিপুর ও রামচন্দ্রপুর নদীতে বিলীন হচ্ছে। আপাতত ভাঙন ঠেকাতে বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে সর্বোচ্চ ১০০ মিটার এলাকায় দ্রুত বালুর বস্তা ফেলা প্রয়োজন বলে মনে করছেন স্থানীয় লোকজন।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়- ১৯৯০ সালে বিদ্যালয়টি নদীতে বিলীন হওয়ার পর ওই গ্রামের বাসিন্দা তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বিদ্যালয়ের জন্য ৩৩ শতাংশ জমি দান করেন। সেই জমিতে গড়ে ওঠে বিদ্যালয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে দুটি একতলা ভবন ও একটি টিনশেড ঘর আছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে- বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশের ভবনটি ঘেঁষে নদীর স্রোত প্রবাহিত হচ্ছে। ভবনের গায়ে আছড়ে পড়ছে ঢেউ। টিনশেড ঘরটির একটি কোনা নদীতে চলে গেছে। সেখানে ভাঙন ঠেকাতে বালুর বস্তা ফেলা হয়েছে। সেসব বস্তার কয়েকটি নদীতে চলে গেছে।

বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ফজলুর রহমান মৃধা বলেন- স্থানীয় সংসদ সদস্যর প্রচেষ্টায় ভাঙন ঠেকাতে এখানে তাৎক্ষণিকভাবে বালুর বস্তা ফেলা হয়েছে। এটি না ফেললে বিদ্যালয় ভবন এত দিনে নদীতে চলে যেত। ভাঙন এখন বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে। সেখানে সর্বোচ্চ ১০০ মিটার এলাকায় দ্রুত বালুর বস্তা ফেলা দরকার। তাহলে বিদ্যালয় ও এলাকাবাসী ভাঙনের কবল থেকে আপাতত বাঁচতে পারবে।

বিদ্যালয়টির শিক্ষকেরা বলেন- ব্রিটিশ আমলে স্থাপিত বিদ্যালয়টি একসময় প্রাণোচ্ছল ছিল। বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ ঘিরে নানা খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন হতো। নদীভাঙনের ফলে ধীরে ধীরে সবকিছু ম্রিয়মাণ হয়ে যাচ্ছে। ঐতিহ্য হারাচ্ছে এলাকা। আশপাশের গ্রামগুলোয় নদী ভাঙনে নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ। এখানে ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা না নিলে এসব জনপদ বিলীন হয়ে যাবে।

নড়াইলের
লোহাগড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) স্বপন কুমার বর্মণ বলেন- উপজেলার মধ্যে নদীভাঙনের সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছে বিদ্যালয়টি। ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা জানেন।

পাউবো নড়াইলের নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল কুমার সেন বলেন- সেখানে ভাঙন ঠেকাতে তাৎক্ষণিক বালুর বস্তা ফেলা হয়েছে। ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ছয় মাস আগে নড়াইল জেলার ২৩টি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। একনেকে পাস হওয়ার জন্য এর সম্ভাব্যতা যাচাই করতে তৃতীয় পক্ষের জরিপ লাগে। ওই জরিপের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। তা অনুমোদন হলে জরিপ হওয়ার পর মূল প্রকল্পটি অনুমোদন হবে। এরপর কাজ হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

অনলাইন ভিত্তিক 71sangbad24.com গণমাধ্যমটি

বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশনে নিবন্ধিত, (আই ডি নং-364)

বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।

আগ্রহীগণ সিভি পাঠাতে -মেইল করুনঃ info71sangbad24.com@gmail.com

©2019 copy right. All rights reserved 71sangbad24.com Desing & Developed By Hostitbd.Com