বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪৭ অপরাহ্ন
হাবিবুর রহমান- পীরগঞ্জ(রংপুর) প্রতিনিধি.
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরে তীব্র জনবল সংকটসহ বহুমুখী সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে। অনেকটাই মুখ থুবড়ে পড়েছে এ দপ্তরটি। ফলে উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তর থেকে ভুক্তভোগীরা তাদের প্রয়োজনে পর্যাপ্ত সেবা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, পীরগঞ্জ উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরের ১১টি পদের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে ৬ টি পদ শুন্য রয়েছে। শুন্য পদ গুলির মধ্যে উপ-সহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা (প্রাণীস্বাস্থ্য), উপ-সহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা (কৃত্রিম প্রজনন), ৩ জন উপ-সহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা (সম্প্রসারণ), অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ও ড্রেসার পদটি। উল্লেখিত পদ গুলি শুন্য থাকার কারনে প্রাণী সম্পদ দপ্তর থেকে গবাদী পশু সহ বিভিন্ন প্রাণীর চিকিৎসা সেবা প্রদান কার্যক্রম চরম ব্যহত হচ্ছে। ব্যাহত হচ্ছে দপ্তরটির স্বাভাবিক কার্যক্রমও।
অপর দিকে অবকাঠামোগত ভাবেও এ দপ্তরটি অনেকটাই রুগ্ন হয়ে পড়েছে। এটির সুরক্ষিত প্রাচীর না থাকার কারনে প্রতিদিন সন্ধার পর দপ্তরটির চত্তরে বখাটেদের আগমন ঘটছে এবং সেখানে চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ। সে সব বখাটেদের আনা গোনায় এ দপ্তরের জানালা দরজাও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। খোয়া যাচ্ছে বাহিরের সরঞ্জামাদী। মাঠটিও অপেক্ষাকৃত নীচু হওয়ায় বর্ষার সময় বৃষ্টির পানি জমে থাকছে। সরকারী ভাবে দপ্তরটির ছোট পরিসরে সংস্কার কাজও বন্ধ রয়েছে দীর্ঘ দিন ধরে।
চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রেও এখানে প্রতিনিয়ত ঔষধ সংকটও বিরাজ করছে। গবাদী পশু ও বিভিন্ন প্রাণীর রোগের প্রকারভেদ অনুযায়ী এখানে ১২০ ধরনের ঔষধের পয়োজন পড়লেও সরকারী ভাবে সরবরাহ করা হছে ৯৬ প্রকারের ঔষধ। তাও চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। যে কারনে গবাদী পশু মালিকেরা চাহিদামত ঔষধ প্রাপ্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত থাকছেন।
অপর একটি সুত্র জানায় পীরগঞ্জ উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তর থেকে ইতিপুর্বে প্রকল্পাকারে বিভিন্ন সেবা প্রদান কার্য্যক্রম পরিচালিত হলেও গত কয়েক মাস থেকে সে গুলোও অর্থাভাবে স্থগীত হয়ে গেছে। আর এর প্রভাব পড়েছে গরু খামারী সহ সাধারন গবাদী পশু মালিকদের উপর। অথচ বিগত সময়ে তারা এ সব প্রকল্প থেকে গবাদী পশু উন্নয়নের ক্ষেত্রে বেশ উপকৃত হতেন।
এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ফজলুল করিম এর সঙ্গে কথা হলে তিনি এ সব সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, এ সমস্যার বিষয় গুলো উপজেলা পরিষদের মিটিং এ আলোচনা করা হয়েছে এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
রংপুর জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আবু সাঈদ এর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাননীয় প্রাণী সম্পদ উপদেষ্ঠা রংপুরে এসেছিলেন। আমরা সেখানে মিটিং এ রংপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলার শূণ্য পদ সহ বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করেছি।