সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১৭ অপরাহ্ন
দুলাল হোসেন- পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
প্রতিনিয়ত যানজটে ভুগছে পটুয়াখালীর বাউফলবাসী। যানজট নিত্যদিনের ঘটনা হলেও তা নিরসনের কোন উদ্যোগ নেই। প্রতি সোমবার এটি প্রকট আকার ধারন করে। পৌর শহরে দিনের বেলায় মালবাহী ট্রাক ও ট্রলি চলাচল নিষিদ্ধ থাকলেও তা মানছে না কেউ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়- পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র কালাইয়া বন্দরে সাপ্তাহিক হাট প্রতি সোমবার। কালাইয়া হাটে প্রতি সোমবার ব্যবসায়ী, কৃষক, মহাজন, ক্রেতা ও বিক্রেতার মিলন মেলায় পরিণত হয়। বিশেষ করে ধান-চাল আর গরু-মহিষের জন্য গোটা দক্ষিণাঞ্চলে বিখ্যাত কালাইয়া হাটে সোমবার হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে।
প্রায় তিন বর্গ কিলোমিটার আয়তনের কালাইয়া হাটে আগে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল নৌযান। পটুয়াখালী, রাঙ্গাবালী, চরফ্যাশন, চাঁদপুর, ভোলা, দশমিনা, গলাচিপা, বরগুনা, ঝালকাঠি, বরিশাল ও ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে কালাইয়া হাটে পণ্য পরিবহনের জন্য নৌযান ব্যবহার হতো। কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হওয়ায় এখন সড়ক পথেই পণ্য পরিবহন করা হয়। আর এ কারণে যানজট এখন নিত্যদিনের ঘটনা।
প্রতিনিয়ত পৌর শহরের গোলাবাড়ি মোড়ে যানজটের কারণে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়। আর সোমবার হলেই সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কালাইয়া হায়াতুন্নেছা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সড়ক, ধান হাট সড়ক, কালাইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় সড়ক, মার্চেন্ট পট্টি সড়ক, সাত্তার চেয়ারম্যান মার্কেট, ল্যাংড়া মুন্সির পুল এলাকা ও প্যাদা রোড জ্যামে আটকা থাকে।
সোমবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়- কালাইয়া হায়াতুন্নেচ্ছা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বাউফল ফায়ার সার্ভিস পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার যানজট তৈরি হয়েছে। অটোরিকশা, ট্রলি আর ট্রাক দখল করে রেখেছে গোটা সড়ক। দুপুর ২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে অতিষ্ঠ হয়ে অনেকে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছেছেন।
আবুল হোসেন নামের এক ব্যক্তি বলেন- দশমিনা থেকে অসুস্থ মাকে নিয়ে বরিশালের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি। কিন্তু এখানেই আটকে আছি দুই ঘন্টা ধরে।
হুমায়ন কবির নামের এক ব্যক্তি বলেন- এই মুহুর্তে কালাইয়া বন্দরে অগ্নিকাণ্ড হলে যানজটের কারণে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসতে পারবে না। ফলে কোটি কোটি টাকার সম্পদহানীর আশংকা রয়েছে। দীর্ঘ এই যানজট আবার ধানের মৌসুমে কয়েকগুন বেড়ে যায়।
ভুক্তভোগীরা জানান- একদিকে রাস্তা পাশে কম(সরু)। সড়কে দিনের বেলা মালবাহী ট্রাক, অবৈধ ট্রলি ও টমটম বন্ধ করা হলে যানজট নিরসন করা সম্ভব এবং অচিরেই একটি বাইপাস সড়ক নির্মাণের দাবি জানান অনেকে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল-আমিন বলেন- শিগগিরই যানজট নিরসনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’