শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৪ অপরাহ্ন
আবুল কাশেম- সিলেট জেলা প্রতিনিধিঃ
পৌষ মাস। জেঁকে বসেছে শীত।কুয়াশার চাদরে ঢাকা প্রকৃতি। পৌষের কনকনে শীতের ঠান্ডা উপেক্ষা করে বোরো চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার হাওর ও নিম্নাঞ্চল এলাকার কৃষকেরা।
বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ যেন কচি চারার সবুজ গালিচায় আবৃত। শীতের সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রতিদিন উপজেলার বোরো আবাদী জমি ট্রাক্টর ও গরু দিয়ে চাষ করেছেন কৃষকেরা।
শরীরে হালকা শীতের পোশাক, মাথায় গরম কাপড় লাগিয়ে কাজের মধ্যে রয়েছে তারা ফুরফুরে মেজাজে। আনন্দ যেন কোন অংশে কম নেই তাদের। শীতল পানি, কাঁদামাটির হাঁড় কাঁপানো ঠান্ডা আর কষ্টকে পিছনে ফেলে অনেক চাষীরা বীজতলা থেকে চারা সংগ্রহ করে সেই চারা আবার জমিতে রোপন করছেন।
অনেকে কোদাল দিয়ে করছেন জমির আইল নির্মাণ কেউবা আবার জমির আগাছা পরিষ্কার করে জমিতে জৈব সার ছিটানোসহ তৈরি জমিতে পাম্পের মাধ্যমে পানি সেচ দিয়ে তা ভিজিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। শ্রমিক সংকটে থাকায় আবার অনেক সময় দেখা যাচ্ছে বোরো চারা রোপনে কৃষকদের সাহায্য করছেন তাদের পরিবারের ছোট বড় সকল সদস্যরা।
সরেজমিনে উপজলার অনেক কৃষক সাংবাদিককে জানিয়েছেন, আমন মৌসুমে ধানের ভালো ফলন ও দাম বেশি হওয়ায় তারা এবার বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বোরো চাষাবাদে ঝুঁকে পড়েছেন। পাশাপাশি তারা আরো বলেছেন,বর্তমানের ন্যায় শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে বলে আশাবাদী।
তবে অনেক কৃষক আছেন শংকায় ফাল্গুন চৈত্র মাসে মাঝে মধ্যে বৃষ্টি না হলে পানির অভাবে জমি ফেটে চৌচির হতে পারে। যার ফলে ভালো ফলন হওয়াটা অনেকটা প্রকৃতির উপর নির্ভর করছে। সর্বোপরি এমন মনোমুগ্ধকর দৃশ্য এখন উপজেলার সর্ববৃহৎ হাওর চাউলধনী, পেকুরা গাঁও, নোয়াগাঁও, বন্ধুয়াসহ, ছোট বড় সব হাওরে দেখা যাচ্ছে সর্বত্র।
কৃষিবিদ ফজলে মাহমুদ জানিয়েছেন- উপজেলা কৃষি বিভাগ কৃষকদের মাঝে উন্নতমানের বীজ, সার ও কীটনাশক যেহেতু বিতরণ করেছে এবং কৃষি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেহেতু সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে এবার গোটা উপজেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে।