শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৩০ পূর্বাহ্ন
এম. এ. শাহীন- ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার দুই সাংবাদিক রজতকান্তি বর্মন ও গোলাম রব্বানী মুসা, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের ষড়যন্ত্রমূলক মামলার ভার বয়ে চলেছেন দীর্ঘ একদশক। তাঁদের দাবি, ২০১৫ সালে মাদক আইনে তৎকালীন সরকারের নির্দেশনা ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা সংস্থার একটি অংশের মদদে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া আজও চলমান। ফলে পরিবার দুটো মারাত্মক ভাবে আর্থিক ও মানসিক ক্ষতির সম্মুখীন।
জানা গেছে, সাংবাদিক রজতকান্তি বর্মন ও গোলাম রব্বানী মুসা ২০১৫ সালে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে, গাইবান্ধা জেলার মাদক ব্যবসা, মাদক ব্যবসায়ীদের থেকে মাসোহারা আদায়ের ও র্যাবের কিছু সদস্যের দুর্নীতি নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। সংবাদ প্রকাশের জের ধরে র্যাব গাইবান্ধা ক্যাম্পের তৎকালীন এএসআই বাচ্চু মিয়া, সহকারী পরিচালক আশরাফ হোসেন সিদ্দিক ও ডিএডি ইউসুফ ক্ষিপ্ত হয়ে ২০১৫ সালের ১০ আগস্ট পরিকল্পিতভাবে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে এবং ইয়াবা ব্যবসার অভিযোগে মামলা দিয়ে তাঁদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে সাংবাদিকদ্বয় জামিনে মুক্তি পেলেও মামলা আজও চলমান।
সাংবাদিক মুসা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “মামলা থেকে আমরা নিরপরাধ প্রমাণিত হলেও, মামলার ছাপ আমাদের জীবন থেকে মুছবে না। এই মিথ্যা মামলায় শুধু আমরা নয়, আমাদের পরিবার গুলোও সামাজিক ভাবে অপমান ও আর্থিক কষ্টের শিকার।
এঘটনায় সাংবাদিক রজতকান্তি বলেন, “আমাদের অপরাধ ছিল ভিন্নমত পোষণ করা এবং সত্য প্রতিবেদন প্রকাশ করা। এর শাস্তি হিসেবে আমাদের জীবন, পরিবার ও ক্যারিয়ার ধ্বংস করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে নিউজ করায় ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় আমাদেরকে ফাঁসানো হয়েছে। এই মামলার পেছনে আমরা আর্থিকভাবে অপূরণীয় ক্ষতির শিকার। আমরা এই মামলা থেকে অব্যাহতির জন্য সরকারের কাছে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য যে, সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হওয়া দুই সাংবাদিক দীর্ঘ ১০ বছর ধরে আদালতে হাজিরা ও মামলা পরিচালনায় খরচ চালাতে এখন আর্থিক সংকটে পরেছে। তারা এই ষড়যন্ত্রমূলক মামলাটি দ্রুত প্রত্যাহার ও তাদের মুক্তি দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানান। এসময় দাবি করে বলেন, বর্তমান সরকার যদি আইনের শাসন ও বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাসী হয়, তাহলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হওয়া মানুষদের রক্ষার দায়িত্ব সরকারেরই।