মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫২ পূর্বাহ্ন
দুলাল হোসেন- পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
বাউফলবাসীর দীর্ঘদিনের সপ্ন দ্বীপ জেলা ভোলার সাথে পটুয়াখালী জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করতে বাউফলের কালাইয়া-নাজিরপুরের সাথে যেন একটা ফেরির ব্যবস্থা করেন কর্তৃপক্ষ।
হয়ত এ সপ্ন আলোর মুখ দেখবে খুব শীগ্রই এমনটাই প্রত্যাশা বাউফলবাসীর। উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীতে ফেরি সার্ভিস চালু করা হলে এ অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ কমবে এমনটাই দাবি দুই তীরের সকল শ্রেণীপেশার মানুষের।
শুক্রবার ৩রা জুন বিকেলে উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নে শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় সভায় দুই জেলার মানুষের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে আশার বানী শোনান সাবেক চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজ এমপি।
উভয় জেলার মানুষের দাবি, বাউফলের তেঁতুলিয়া নদীতে ফেরি সার্ভিস চালু হলে দ্বীপ জেলা ভোলার মানুষ খুব সহজে পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন উপজেলায় যাতায়ত করতে পারবেন। বিশেষ করে বাউফল হয়ে দুমকি, পটুয়াখালী সদর ও সাগরকণ্যা কুয়াকাটা যাতায়ত করতে পারবেন। বর্তমানে ভোলা জেলার মানুষ এ অঞ্চলে যাতায়তের জন্য বরিশাল হয়ে পটুয়াখালী আসেন। আর তেঁতুলিয়া নদীতে ফেরি সার্ভিস চালু হলে ভোলা জেলার মানুষকে বরিশাল হয়ে পটুয়াখালী আসতে হবেনা। তারা বাউফল হয়ে পটুয়াখালীর সবকটি উপজেলায় যাতায়ত করতে পারবেন। ফেরি সার্ভিস চালু হলে তেঁতুলিয়া নদী পারাপার হতে এক ঘন্টারও কম সময় লাগবে।
এ ছাড়াও তেঁতুলিয়া নদীতে ফেরি সার্ভিস চালু হলে সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার থেকে চট্রগ্রাম, ফেনি, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ভোলা সদর হয়ে লালমোহন উপজেলার নাজিরপুর দিয়ে অপর সমুদ্র সৈয়কত কুয়াকাটা যাতায়ত করতে পারবেন। তেমনি সামাজিক বন্ধনও গড়ে উঠবে। ব্যবসা বানিজ্যের সম্প্রসারণ ঘটবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে- অনেক আগেই লালমোহন উপজেলার নাজিরপুর পর্যন্ত ও বাউফল উপজেলার শৌলা পর্যন্ত সড়ক পাকা করণ করা হয়েছে। আরও আনুসাংঙ্গিক কিছু কাজ শেষ করে তেঁতুলিয়া নদীতে ফেরি সার্ভিস চালু করলেই হবে। বাউফল উপজেলার কালাইয়া বন্দর বানিজ্যিক নগরী হিসাবে দক্ষিণাঞ্চলে পরিচিত। প্রতি সোমবার কালাইয়া বন্দরে নোয়াখালী ও ভোলার সকল উপজেলা ব্যবসায়ীরা গরু-মহিষসহ নানা পণ্য সামগ্রী ক্রয় বিক্রয় করতে আসেন। আর এ জন্য তাদেরকে নৌকা বা ট্রলার নিয়ে আসতে হয়।
সেখানে তেঁতুলিয়া নদীতে ফেরি সার্ভিস চালু হলে গাড়ি নিয়ে আসতে পারবেন। আর এই ফেরি সার্ভিস চালুর বিষয়টি সামনে রেখে বৃহস্পতিবার বাউফলের এমপি, সাবেক চীফ হুইপ ও সরকারী প্রতিষ্ঠান কমিটির সভাপিত আসম ফিরোজ, পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল হাসান ও বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আল আমি যোযোগের সাম্ভব্যতা যাইয়ের জন্য প্রস্তাবিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
এ ব্যাপারে আসম ফিরোজ এমপি “দৈনিক সরেজমিন বার্তা”কে বলেন- তেঁতুলিয়া নদীতে ফেরি সার্ভিস চালুর বিষয়ে আমি ইতিপূর্বে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলকে অবহিত করেছি। তারা আমাকে আশস্ত করেছেন। অফিসিয়াল কিছু কাজ শেষ হলেই আশা করি অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের এই কাঙ্খিত স্বপ্নটি পূরণ হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নে বিশ্বাস করেন। তাই আমার বিশ্বাস ভোলাবাসীর সাথে আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক ও যাতায়ত ব্যবস্থার উন্নতির জন্য তিনি এই প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়ন করবেন।