সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:০১ অপরাহ্ন
শাহীন আহমেদ- নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর ডোমারে নিজের জমিতে বিল্ডিং নির্মাণে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বাধায় নির্মাণ কাজ করতে পারছে না বলে অভিযোগ করেছে এক ভুক্তভোগী। ঘটনাটি ঘটেছে ডোমার উপজেলার খামার বামুনিয়া এলাকার ঘনোপাড়ায়। ওই এলাকার আনিছুর রহমান(৫২), মমিনুর রহমান(৫০), আমিনুর রহমান(৫৫), শাহীনুর ইসলাম(৩৯), বিপ্লব হোসেন(৪০) সহ বেশ কয়েকজন গৃহ নির্মাণ করতে বাধা প্রদান করছেন বলে অভিযোগ করেন একই এলাকার বাসিন্দা এ্যাডঃ খাইরুল ইসলাম নাঈম(৩৮)।
তিনি বলেন, আমার পৈত্রিক সম্পত্তিতে বিল্ডিং নির্মাণের কাজ করতেছি। নির্মাণ কাজের পিলার তৈরি হয়ে গেছে। এখন ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শুরু করবো। কিন্তু তারা আমাদের বিল্ডিং নির্মাণের কাজে বাধা দিচ্ছে। তাদেরকে ২০ লাখ টাকা চাদা না দিলে ঢালাই করতে দিবে না বলে হুমকি দিচ্ছে। যে মিস্ত্রিরা কাজ করছে তাদেরকে নানা ভাবে তারা হুমকি প্রদান করছে। তারা যেনো কাজ না করে। যার কারণে মিস্ত্রিরাও কাজ করতে ভয় পাচ্ছে।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সকালে মিস্ত্রিরা বাড়ীর নির্মাণ কাজ শুরু করে। এসময় অভিযুক্তরা মিস্ত্রিদের ডেকে নির্মাণ কাজ করতে বারন করে। কাজ করলে তাদের হাত-পা ভেঙ্গে দিবে বলে হুমকি প্রদান করে।
কাজ করতে আসা মিস্ত্রি রুবেল ইসলাম বলেন, আমরা সকালে এসে কাজ করতে ধরি। সিমেন্ট বালুও ভিজিয়েছি এরমধ্যে তারা (অভিযুক্তরা) আমাদের ডেকে কাজ করতে বারণ করে। তখন আমরা এসে বাড়ীর মালিককে বলি। বাড়ীর মালিক আমাদের কাজ করতে বলে আমরাও কাজ করি। কিন্তু কিছুক্ষণ পর যখন আমরা নাস্তা খেতে যাই তখন তারা আমাদের হুমকি দেয় আবার যদি কাজ করি তাহলে হাত পা ভেঙ্গে দিবে।
আরেক মিস্ত্রি রিফাত ইসলাম বলেন, আমরা কয়েকজন মিলে কাজ করতেছিলাম। তাদের হুমকিতে আর কাজ করছি না। আমাদের দু‘জন হেড মিস্ত্রি ভয়ে কাজ বন্ধ করে চলে গেছে। আমরাও একটুপর চলে যাবো।
ভুক্তভোগী খাইরুল ইসলামের বাবা সিদ্দিক হোসেন বলেন, তারা মিস্ত্রিদের ভয়ভিতি দেখাচ্ছে। হাত-পা ভেঙ্গে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। বালু সিমেন্ট ভিজানোর পরও মিস্ত্রিরা ভয়ে কাজ করছে না। মিস্ত্রিদের কাজ করতে বললে তারা বলছে আমাদের নিরাপত্তা কে দিবে। আপনাদের কাজ করতে গিয়ে যদি আমাদের ক্ষতি হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আনিছুর রহমান বলেন, চাঁদা দাবির বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। ওই যায়গার মালিকানা নিয়ে সমস্যা রয়েছে।
জানতে চাইলে ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদ উন নবী বলেন, আমাদের কাছে তারা কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।