রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২০ পূর্বাহ্ন
হারুন-অর-রশিদ বাবু- বিশেষ প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধা জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মিরাজুজ্জামান রবিনের বিরুদ্ধে স্থানীয় এক কলেজ ছাত্রীকে নিয়ে পালানোর অভিযোগ, ওই ছাত্রীর পরিবারের।
অভিযুক্ত মিরাজুজ্জামান রবিন(৩১) গাইবান্ধা জেলার সদর উপজেলার, পৌর শহরের পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা, গাইবান্ধা জেলা রিক্সা ও ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও জেলা জাতীয় পার্টির নেতা রফিকুল ইসলামের পুত্র। এবং গাইবান্ধা জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও টিসিবির ডিলার।
গত ২৩-০২-২০২৪ ইং তারিখে একই এলাকার এক কলেজ ছাত্রীকে নিয়ে উধাও হয়েছে বলে জানাগেছে। ছাত্রীর পিতা গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে কর্মরত মোঃ ফজলুল বারীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ হলে, তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, লোক লজ্জার ভয়ে ও রবিনের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় এখনো কোন প্রতিকার পাইনি।
তবে আমি আমার মেয়েকে কখনোই মেনে নিবনা। এঘটনায় আমি বেশ হেয়প্রতিপন্ন হওয়ার আশংকায় আছি। ইতিপূর্বে আমি সমাজের দায়িত্বশীলদের মাধ্যমে আমার মেয়েকে উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। থানায় অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, থানা পুলিশকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।
তবে এবিষয়ে জানতে চাইলে, গাইবান্ধা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মাসুদ রানা বলেন, কোন অপহরণ,নিখোজ, বা পালানোর বিষয়ে কেউ জানায়নি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, রবিনের এক প্রতিবেশী বলেন, বিগত মাস তিনেক আগেও সে, হরিপুর, পলাশবাড়ী এলাকার একটি মেয়ের সাথে প্রেমের অভিনয় করে, বিভিন্নস্থানে তাকে নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে।
এখন শুনছি তাকে বাদ দিয়ে গ্রামের কলেজপড়ুয়া এক মেয়েকে নিয়ে ভেগেছে। তিনি আরও বলেন, গাইবান্ধা জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ পাওয়ার পর থেকেই বেশ বেপরোয়া এই রবিন। সাংবাদিকরা ভালো করে খবর নিলেই, তার নারী কেলেঙ্কারির আসল চিত্র বেড়িয়ে আসবে।
গাইবান্ধা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি, খন্দকার জাকারিয়া আলম জিম, বলেন অপহরণ নয়! আমি শুনেছি সে তার পার্শ্ববর্তী বাড়ির একটি মেয়েকে নিয়ে পালিয়েছে।একজন ছাত্র সংগঠনের নেতা হিসেবে এটা তার উচিৎ হয়নি। তবে লিখিত অভিযোগ দিলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন রবিনের এহেন কর্মকাণ্ডের কারণে সংগঠন বেশ বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে।
গাইবান্ধা জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক,
তারেকুজ্জামান তারেক বলেন, বিষয়টি গতকাল একটু শুনেছি, এইমাত্র আপনার কাছে পরিষ্কার হলাম। তবে আমি যতটুকু জানি, তারা উভয় সম্মতিক্রমে পালিয়েছে। ওই নেতা আরও বলেন এটা তার ব্যক্তি স্বাধীনতা এখানে সংগঠনের কিছুই করার নেই!
একজন ছাত্র সংগঠনের জেলা পর্যায়ের নেতার এহেন চরিত্র আগামী প্রজন্মের জন্য কি বার্তা দিচ্ছে? সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তারেক বলেন, এটি খুবই দু:খজনক মিরাজুজ্জামান রবিনের এহেন কর্মকাণ্ডে আমাদের দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। অবশ্যই সাংগঠনিকভাবে এটার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এবিষয়ে জানতে গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি, ডাঃ মাইনুল হাসান সাদিক। এবং সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুন নবী টিটুল এর ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার কল দিলেও তারা ফোন ধরেনি বলে, তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অভিযুক্ত, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিরাজুজ্জামান রবিনের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার ফোন বন্ধ থাকায়, বক্তব্য পাওয়া যায়নি।