শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৩৬ অপরাহ্ন
৭১সংবাদ২৪.কম- ডেস্কঃ
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের বুড়িরহাট বটতলা এলাকায় চোর সন্দেহে নির্মমভাবে হত্যার শিকার রূপলালের পরিবারকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। শনিবার (১৬ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১১ টায় উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়ায় রূপলালের শোকাহত পরিবারকে দেখতে আসেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল ও নির্বাহী কর্ম পরিষদ সদস্য এটিএম আজহারুল ইসলাম। তিনি নিহত রূপলালের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং নিহত রূপলালের স্ত্রীর হাতে নগদ অর্থ প্রদান করেন এবং মেয়ে নুপুরের বিয়েতে উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগীতার আশ্বাস প্রদান করেন।
এটিএম আজাহার বলেন, আমরা সবাই মানুষ, এক আল্লাহর সৃষ্টি। কিন্তু সৃষ্টির সেরা জীব হয়ে কিভাবে মানুষ, মানুষকে পিটিয়ে মারতে পারে? বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম মব জাস্টিসে বিশ্বাসী নয়। কারণ আইন নিজ হাতে তুলে নেয়ার আধিকার কারও নেই। তিনি আরো বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাই প্রথম শাহবাগে গণজাগরন মঞ্চ করে “মব জাস্টিস” সৃষ্টি করে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, তারাগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর মো. আলমগীর হোসেন, এ্যাড. কাজী সামছুল হুদা সহ স্থানীয় জামায়াত নেতারা।
পরে দুপুর সাড়ে ১২টায় তারাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ নিহত রূপলালের স্ত্রী শ্রীমতি মালতির কাছে নগদ ৭০ হাজার টাকা প্রদান করেন। এসময় উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, রুপলাল ছিল আমাদের অতি পরিচিত ও প্রিয় ব্যক্তি। তাঁকে চোর আখ্যা দিয়ে গণপিটুনি দিয়ে মর্মান্তিক ভাবে মেরে ফেলে, এতে আমরা সকলে আজ মর্মাহত এবং ব্যথিত। ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনা আর না ঘটে সে জন্য আমরা সবাই সজাগ থাকবো। দেশ নায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনায় আমরা কিছু আর্থিক সহায়তা দিয়েছি। রুপলালের মেয়ে নুপুরের বিয়ের সময় আরো সাধ্যমতো সহযোগীতা করবো। তিনি বলেন, আমরা যতোদিন বেঁচে আছি এই সমস্যা ছাড়াও যেকোন প্রয়োজনে বিপদে আপদে ভুক্তভোগী পরিবারটির পাশে থাকবো ঘোষণা দিলাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির নব-নির্বাচিত সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম, সা. সম্পাদক মেহেদী হাসান (শিপু), সিনিয়র সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম মন্ডল, জেলা বিএনপি সদস্য মতিয়ার রহমান, উপজেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মিঠু, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান চৌধুরী শাহীন, কোবায়দ হোসেন, কুর্শা ইউনিয়ন বিএনপি’র সা. সম্পাদক আব্দুল হাকিম সরকার, উপজেলা ছাত্রদল আহবায়ক মহিউদ্দিন ইয়াহিয়া কাজল ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট শনিবার উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের বটতলা নামক স্থানে রূপলাল ও তাঁর ভাগিন জামাই প্রদীপ দাস চোর সন্দেহে উত্তেজিত জনতার গণপিটুনিতে নিহত হন।