সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০৫ অপরাহ্ন
দুলাল হোসেন- পটুয়াখালি জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন ১১টি চর নিয়ে গঠিত চন্দ্রদ্বীপ একটি অবহেলিত ইউনিয়ন যেখানে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে বাঁচতে হয় প্রমত্তা তেতুঁলিয়া নদীর সর্বগ্রাসী হানার সাথে।
এ ক্ষুদ্র জনপদে প্রায় ২২ হাজার লোকের বসবাস। এখানকার অধিকাংশই হচ্ছে জেলে, কৃষক শ্রমিকসহ নিম্ন আয়ের মানুষ।
অধিকার বঞ্চিত পিছিয়ে পড়া এ জনগোষ্ঠী এখনো শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নে পিছিয়ে আছে। এই আধুনিক যুগেও যারা ঝাড়-ফুক আর কুসংস্কারে বিশ্বাসী।
এ অবহেলিত জনপদে সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ করার প্রয়াসে একদল যুবক প্রতিষ্ঠা তুলেছেন ‘এস.ডি সমাজকল্যাণ সংস্থা’ নামের একটি সামাজিক সংগঠন।
যার মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া এ জনগোষ্ঠীর ভাগ্য উন্নয়নে বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়- ২০২০ইং সালে চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নে ৬ জন যুবক ও এক সচেতন গৃহিণী মিলে প্রতিষ্ঠা করেন এস.ডি সমাজকল্যাণ
সংস্থা’।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে সমাজিক উন্নয়ন মুলক কর্মকান্ড করে
আসছে সংস্থাটি। বাল্যবিবাহ ও মাদক বিরোধী বিভিন্ন সচেতনতা সভা-সেমিনার করছে তাঁরা।
এছাড়াও বিচ্ছিন্ন এ জনপদে শিক্ষার হার তুলনামূলক অনেক কম। যার কারনে শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ার হার
কমিয়ে আনতে কাজ করছে সংস্থাটি। ২২ হাজার মানুষের জনপদে একটি মাত্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যাও কম। রয়েছে জনবল সংকট। শিক্ষার মান উন্নয়নেও কাজ করছে ওই সংস্থা। ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে মেধাবী শিক্ষার্থীদের দিচ্ছেন সম্মাননা ও বৃত্তি।
এছাড়াও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে সংস্থাটি। চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের আগুনে পুড়ে সব হারানো দুইটি পরিবার ও ভারতে আটকে থাকা ১১টি জেলে পরিবারের মাঝে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের আ.স.ম ফিরোজ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবদুর রব বলেন- তাঁরা কয়েকজন যুবক একটি সংগঠন পরিচালনা করছেন। যার মাধ্যমে চন্দ্রদ্বীপের শিক্ষার আলো বঞ্চিত শিশুদের বিদ্যালয় মূখী করতে কাজ করছে। এটা প্রশংসানীয়।
এস.ডি সমাজকল্যাণ সংস্থার সভাপতি ও ইউপি সদস্য মোঃ কামাল হোসেন জানান- চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন একটি অবহেলিত ইউনিয়ন। এখানকার মানুষ মৌলিক চাহিদা হতে অনেকটা বঞ্চিত।
অবহেলিত এ ইউনিয়নের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য আমরা পথচলা শুরু করছি। চন্দ্রদ্বীপে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য মৎস্যচাষ, হাঁস- মুরগী, গবাদিপশু পালন, মা ও শিশুর পরিচর্যা, নিরক্ষতা দূরীকরণ ও আর্থ সামাজিক উন্নয়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
এবিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন- সংস্থাটির নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা হয়। ইতি মধ্যে তাদের নামের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্য গোয়েন্দা তদন্ত চলছে।