মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:০২ অপরাহ্ন
৭১সংবাদ২৪.কম- ডেস্ক.
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সংসদীয় আসন রংপুর-২ এর তারাগঞ্জ উপজেলায় গণসংযোগ জোরদার করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও এমপি প্রার্থী এটিএম আজহারুল ইসলাম। রবিবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় তারাগঞ্জ বাজারে “ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট এন্ড বিজনেসম্যান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন (আইবিডাব্লিউএফ)” কর্তৃক আয়োজিত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
ওই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, তারাগঞ্জ উপজেলা জামায়াতে ইসলামের আমির এস. এম. আলমগীর হোসেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন ও উপজেলা জামায়াতের ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী। উপস্থিত ছিলেন, তারাগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পলাতক এবং ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত খুনি হাসিনা এখনও ভারতে বসে বাংলাদেশ নিয়ে অপতৎপরতা চালাচ্ছে। হাসিনার দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র রুখে দিতে এবং দেশের জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় সবাইকে সচেতন ও সজাগ থাকতে হবে। ভারত বাংলাদেশের শত্রু। আমাদের একদিকে বঙ্গপো সাগর, তিন দিকে ভারত। প্রতিবেশি দেশ হিসেবে তারা আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র না হয়ে আক্রমণ করতে চায়। তবে এই বাংলাদেশে ভারতের দাদাগিরি আর চলবে না।
তিনি আরো বলেন, জনগণের ওপর নির্যাতন ও জুলুম চালিয়ে বেশিদিন ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার তার দৃষ্টান্তমুলক উদাহরণ। দুর্নীতি করে আওয়ামী লীগ সরকার কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার না করলে, আমাদের দেশ অনেক উন্নত হতো। আমাদের দেশে কর্মসংস্থানের জন্য বাইরের দেশ থেকে মানুষ আসতো। খুনি হাসিনার নির্দেশে জুলাই বিপ্লবে আমার ছোট-ছোট ভাইদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বিনা দোষে আমাকেও ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মারতে চেয়েছিল। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি বেঁচে গেছি, আজ আপনাদের সামনে সমাবেশ করছি।
নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, জামায়াত ক্ষমতায় গেলে সকল চাঁদাবাজি এবং দুর্নীতি বন্ধ হবে। নিরাপদে থাকবে সকল ধর্মের মানুষ। জনগণের কল্যাণে নীতিগত অবস্থান নিয়ে বাংলাদশ জামায়াতে ইসলামী দীর্ঘদিন থেকে এদেশের মাটিতে রাজনীতি করে যাচ্ছে। দেশের গণমানুষের কল্যাণে দুর্নীতি, লুটপাট ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আমরা আপসহীন। জামায়াত ক্ষমতায় এলে দীর্ঘদিন উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত মানুষের অধিকার পুনরুদ্ধার করা হবে ইনশাআল্লাহ। জনগণের করের টাকা জনগণের কল্যাণেই ব্যয় করা হবে। উন্নয়নে কোনো শ্রেণি বা এলাকার প্রতি বৈষম্য হবে না। সভা শেষে তিনি বাজার এলাকায় গণসংযোগ করেন এবং জনসেবার সুযোগ চেয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়িপাল্লা মার্কায় ভোট চান।