মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:০৭ অপরাহ্ন
রবিন চৌধুরী- রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
রংপুর চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) আতিকুর রহমান আরিফের বিরুদ্ধে নারী সাংবাদিক নেত্রীকে হেনস্থা ও হুমকির অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার (১২ অক্টোবর) বিকাল ৪টার দিকে ১০ তলা ভবনের লিফটে এ হেনেস্তা ও হুমকি প্রদান করেন।
ভুক্তভোগী ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১২ অক্টোবর ২৫ইং বিকাল ৪টার দিকে চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কাজে যাওয়ার সময় লিফটে ১০ তলা ভবনে ওঠার জন্য লিফটের ০৩নং বাটন চাপ দিলে লিফটে থাকা মোঃ আতিকুর রহমান আরিফ (এডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর, চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, রংপুর) আমাকে লিফট থেকে নেমে যেতে বলেন। এ সময় গোয়েন্দা সংস্থার একজন সহ আরোও ৭/৮ জন সাধারণ জনগণ লিফটে উপস্থিত ছিলেন। তখন আমি কেন নেমে যাবো জানতে চাহিলে তিনি হঠাৎ করে আমার উপর রেগে যান এবং বলেন লিফটে উঠছেন কেন? আপনি ৪র্থ যেতে লিফটে ওঠা লাগে? নামেন হেঁটে হেঁটে যান।
আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় হেঁটে যেতে পারবো না বলে তাকে জানাই। তদুপরি অসুস্থতার কথা বললেও তিনি আমাকে রাগান্বিতভাবে লিফট থেকে নেমে যেতে বলেন। এছাড়াও তিনি বলেন, এটা আইনজীবীদের লিফট আমাকে লিফট থেকে জোর করে নামানোর চাপ সৃষ্টি করেন। এ সময় আমি নামতে না চাইলে তিনি আমাকে হুমকি প্রদান করে বলেন আপনার কোন মামলা মোকদ্দমা হাতে পাইলে খেয়ে ফেলবো এবং আপনাকে শেষ করে দিবো মর্মে হুমকি প্রদান ও উত্তেজিত ভাবে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন।
এহেন পরিস্থিতিতে আমি ভীত সন্ত্রস্ত যে, তিনি (এ্যাড. মোঃ আতিকুর রহমান আরিফ) আমি সহ যেকোন সংবাদ কর্মীর মামলা মোকদ্দমায় ঘোলাটে পরিস্থিতি তৈরী করে অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখিন করতে পারে।
গণমাধ্যম বিরোধী ব্যক্তি হিসাবে আইনজীবীর এমন আচরন গণমাধ্যম ও গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য হুমকির কারণ। আমি এই আরিফের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবীসহ এপিপি পদ থেকে তাকে অপসারন পূর্বক মুক্ত গণমাধ্যম ও নিরাপদ গণমাধ্যম কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জোর দাবী জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোঃ আফতাব উদ্দিন জানান, তিনি এপিপি হোক বা যেই হোক একজন মহিলার সঙ্গে তো খারাপ ব্যবহার করতে পারে না। সবার সঙ্গে আমাদের ভালো ব্যবহার করতে হবে। আমি অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টা খতিয়ে দেখব।
তিনি আরো বলেন, বিগত দিনের আইনজীবীরা যেভাবে মানুষদের সঙ্গে আচার ব্যবহার করে গেছে। মানুষ তাতে ক্ষিপ্ত। আমরা কাজের মাধ্যমেই আমাদের আইনজীবীদের ভালোবাসা ফিরিয়ে আনতে চাই।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল বলেন, এ ধরনের আচরণ কারো সাথেই কাম্য নয়। অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।