রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১৭ অপরাহ্ন
মোঃ ছিদ্দিক- দৌলতখান(ভোলা) প্রতিনিধিঃ
সাভার বিপিএটিসি কোয়ার্টার ভেতর নিজ স্ত্রী ও দুই মেয়ে কে দিয়ে দীর্ঘ বছর দেহ ব্যাবসা করা কবিরের বিরুদ্ধে সরকারী জায়গায় অবৈধ কাজ করায় (প্লাম্বার, বিপিএটিসি) সরকার বাদী মামলা হতে পারে বলে জানা গেছে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন- আপনাকে (কবির) বসবাস করতে দেওয়া হয়েছে সরকারী কোয়ার্টারের ভিতর কিন্তু স্ত্রী ও কন্যাদের দিয়ে দেহ ব্যাবসা’র মতো অবৈধ কাজ করতে দেওয়া হয়নি। তার বিরুদ্ধে কি ব্যাবস্থা নিচ্ছে সরকার? সাংবাদিকের করা এমন প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, নজরদারি তে রাখা কবির পরিবার ও সকল সহায়তাকারী গ্রেফতার হবেন যেকোন মুহুর্তে।
গোয়েন্দা রিপোর্ট পুরোপুরি হাতে আসার পর পর ই গ্রেফতার দেখানো হবে আসামীদের।আইনমন্ত্রী এই সময় আরও বলেন, যখন মানুষের চরিত্র নিম্নদিকে নেমে যায় তখন ই অবক্ষয় ঘটে এরপর চূড়ান্ত লক্ষ্যের দিকে ধাবিত হয়।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী “ফরহাদ” বলেন- সাভার বিপিএটিসি নিজ কোয়ার্টারে অবৈধ কাজ করার ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, পরিপূর্ণ স্পেশাল ব্রাঞ্চ পুলিশের গোয়েন্দা রিপোর্ট মন্ত্রনালয়ে জমা দেওয়ার পর পর ই বরখাস্ত সহ কোয়ার্টার এলাকায় আজীবন জন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন কবির সহ সকল সহযোগী ও তার পরিবার।
কবির বড় মেয়ে কল্পনা আক্তার কেয়া’র দ্বিতীয় স্বামীকে হত্যার হুমকি দিতে পারেন কিনা এমন প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন- কবির ইজ সো মাচ ষ্টুপিড, আমি যতটুকু তথ্য পেয়েছি সরকারী নিয়ম সবক্ষেত্রেই অমান্য করেছেন তিনি। সেই ব্যাক্তি যদি পুলিশের কাছে অভিযোগ দেয় অবশ্য ই দ্রুত ব্যাবস্থা নিবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বিপিএটিসি স্কুল শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে ফুসছে- সাভার বিপিএটিসি কোয়ার্টার এলাকায় দেহ ব্যাবসার মতো অবৈধ কাজ করায় ক্ষোভে ফুসছে স্থানীয় মুসল্লী সহ স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
তিনা বলেন- কবির আমার আব্বুর বন্ধু আন্টি ও কেয়া আপু, পিয়া আপুকে দিয়ে খারাপ কাজ করানোর ঘটনা সত্যিই মেনে নেওয়ার মতো নয়।
রাসেল বলেন- একজন ব্যাক্তি যখন সবচেয়ে খারাপ মানুষ হয়ে যায় তখনই তিনি খারাপ দিকে ধাবিত হোন।
পরিবারটিকে গ্রেফতারসহ দ্রুত বিপিএটিসি থেকে বের করার অনুরোধ জানান সরকারের প্রতি। তিসা বলেন, কবির ইজ ক্রুয়েল এন্ড হিজ এজ এ এনিমাল। কোনও পশু ও তার পরিবারের সঙ্গে বসবাস করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা এদের বিচার চাই।
মুসল্লি রাব্বানি বলেন- ভালো মানুষের মুখোশ পড়ে এরা এতোদিন বিপিএটিসি কত স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের ক্ষতি করেছে কে জানে?
পুলিশ সদরদপ্তরের (এআইজিপি) শাহাবুদ্দিন বলেন- আসামীদের উপর গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। কোনও ভাবে ই তারা দেশত্যাগ করতে পারবেন না।কবিরের কোয়ার্টার বাসায় লোকজন যাতায়াত এবং অসামাজিক কাজ চলতো তার অসংখ্য অডিও রেকর্ড প্রমান পাওয়া গেছে।
সে সরকারি বাসায় যাতায়াতকারী বেশকিছু স্বীকার করেছেন এই ব্যাপারে, যে সরকারি বাসায় অসামাজিক কাজ চলতো। হোটেল বৈশাখি সহ আশপাশের একাধিক সিসিটিভি ফুটেজ কবিরের স্ত্রী, দুই মেয়ের ই ভিডিও ফুটেজ মিলেছে। অর্থাৎ! প্রমানের জন্য যেটা দরকার সব ই করা শেষ।
তদন্ত এখন শেষদিকে এরপর গ্রেফতারের পর পর ই সে বাসার নারীরা অসামাজিক কাজের কথা স্বীকার না করলে মিডিয়া ট্রায়ালে, আমরা সিআইডি ফরেনসিক টিমের সহায়তা নিবো।