শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন
রুহুল আমীন খন্দকার- বিশেষ প্রতিনিধিঃ
দেশ ও জাতির কল্যানার্থে বিরতিহীন অভিযানের মাধ্যমে মাদক, সন্ত্রাস, অস্ত্র ও জঙ্গিবাদ নির্মূলসহ দেশের সার্বিক শান্তি শৃঙ্খলা বজায়ের মলক্ষ্যে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট। এই ধারাবাহিকতাকে অক্ষুণ্ণ রাখতে সারা দেশব্যাপী র্যাব, আর্মি, বিজিবিসহ বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট কতৃক যথারীতি অভিযান চলমান রয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় রাজশাহী রেঞ্জ পুলিশের ৮টি জেলা জুড়ে পুলিশের চলমান অভিযান বিদ্যমান রয়েছে। ঘটনার বিবরণ প্রকাশ, রাজশাহীতে ডাকাতি মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড এড়াতে ২৩ বছর ধরে আত্মগোপনে ছিলেন মোঃ আব্দুস সাত্তার(৬৫) নামে এক ব্যক্তি। নিজ এলাকা ছেড়ে ভারতে গিয়ে গড়েছিলেন স্থায়ী আবাস। তবে শেষ রক্ষা হলো না তার। অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন তিনি।
গতকাল শুক্রবার ৬ই মে ২০২২ইং দিবাগত-রাত আড়াইটার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ঘুঘুডিমা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আজ শনিবার ৭ই মে দুপুরে বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীদের নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ ইফতে খায়ের আলম।
ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন- রাজশাহীর তানোর উপজেলার কিসমত বিল্লি গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আব্দুস সাত্তার। এক সময় ডাকাত হিসেবে কুখ্যাতি ছিল তার। ১৯৯৯ইং সালের ৯ই মার্চ এক ডাকাতির ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। এর পর থেকেই ভারতের মুর্শিদাবাদে পালিয়ে যান আব্দুস সাত্তার। পরে ডাকাতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রাজশাহী জেলা দায়রা জজ আদালত আসামির অনুপস্থিতিতেই ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক হাজার টাকা জরিমানা করেন। জরিমানার অর্থ অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশও হয়।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন- মামলার পর থেকে তাকে পাওয়া না গেলেও লোক মুখে শোনা যায় তিনি ভারতে গিয়ে স্থায়ী বাসিন্দা হয়েছে। তবে কয়েকদিন আগে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন। গোপন সূত্রে এ খবর পেয়ে তানোর থানা পুলিশের একটি টিম বিশেষ অভিযান চালায় তাকে গ্রেফতারের জন্য। সেই অভিযানে পুলিশ তাকে গ্রেফতারে সক্ষম হয়।
এ বিষয়ে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ কামরুজ্জামান মিয়া বলেন- আবদুস সাত্তার ২৩ বছর ধরে পলাতক ছিলেন। এখন তিনি তাঁর সাজার ১০ বছর কাটাবেন। শনিবার সকালে পলাতক আসামি আব্দুস সাত্তারকে পুলিশ হেফাজতে বিজ্ঞ আদালতে হস্তান্তরের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।