রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১০ অপরাহ্ন
আফজাল হোসেন- দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
ফুলবাড়ী উপজেলা প্রশাসনের নজরদারী বা অভিযান না থাকায় দেবীপুর ছোট যমুনা নদী থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে কোটি টাকার বালু। ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউপির দেবীপুর গ্রামে সংলগ্ন ছোট যমুনা নদী থেকে বছরে বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা অবৈধ্যভাবে কোটি টাকার বালু উত্তোন করে বিভিন্ন স্থানে মজুদ করে বিক্রি করছে।
এতে নদী সংলগ্ন পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলি নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ছে। প্রতি দিন গভীর রাতে ও ভোর বেলায় বালু ব্যবসায়ীরা ট্রলি নামিয়ে বালু উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে। প্রতি গাড়ি বালু ১২ শত থেকে ১৪ শত টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। শিবনগ্রর ইউপ’র পাঠকপাড়া কুমারপুর ঘাট থেকে মোঃ মিলন, দেবীপুর ঘাট থেকে মোঃ উজ্জল, পাঠপাড়া ঘাট থেকে মোঃ বাদশা, শ্মসান ঘাট থেকে মোঃ বেলাল বালু উত্তোলন করছেন। প্রকৃত সরকারি ঘাটের ইজারা ডাক না থাকায় এই অবস্থার মধ্য দিয়ে অবৈধ্য বালু ব্যবসায়ীরা লুটে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এমনি অবস্থা বিরাজ করছেন ফুলবাড়ী উপজেলার দৌলতপুর ও খয়েরবাড়ী সহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে।
এই অবস্থা চলতে থাকলে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাবেন। এই ছোট যমুনা নদী থেকে অবৈধ্য ভাবে বালু উত্তোলন করেন সরকারি বে-সরকারি রাস্তা ঘাটের কাজ ও করা হচ্ছে। সরকারি কাজে ঠিকাদারদের সিডিউলে বালুর দাম ধরা থাকলেও তারা বাইরে কিছু লোকজনদেরকে দিয়ে চোরাই পথে যমুনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করে রাস্তাগুলির কাজ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিশেষ করে শিবনগর ইউপির পাঠকপাড়া থেকে আমডুংগিহাট পর্যন্ত যমুনা নদীতে যেভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে তাতে নদীর দুই ধারের জমির মালিকদের অফুরন্ত ক্ষতি হচ্ছে। বর্ষাকাল এলে জমিতে লাগানো ফসল নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এই বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা
নেওয়া না হলে তারা অবৈধ বালু নদী থেকে তুলে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হবে। ভাংতে থাকবে কৃষকদের ফসলি জমি। এ ব্যাপারে পাঠকপাড়া ইউপির ৩নং ওয়ার্ডের ওয়ার্ড সদস্য জানান, প্রশাসনকে বলে কোন কাজ হয় না। প্রশাসন স্থানীয় চকিদারদের দিয়ে এই সব অবৈধ বালু ব্যবসায়ীর গাড়ি আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নিলে হয়তোবা অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ
হতে পারে।
এ বিষয় ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর মোঃ আল কামাহ তমালা এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, আজ অভিযান চালিয়ে একটি গাড়ী আটক করা হয়েছে। এই অভিযান অব্যহত থাকবে। কাওকে যমুনা নদী থেকে অবৈধ্যভাবে বালু তুলতে
দেওয়া হবে না।
এ ব্যাপারে কৃষক মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, আমরা ভয়ে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারিনা। আমরা অসহায়। এ ব্যাপারে শিবনগর ইউপির গ্রামবাসী ও কৃষকেরা দেবীপুর থেকে আমডুংগি হাট পর্যন্ত ছোট যমুনা নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধকল্পে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।