সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩৮ পূর্বাহ্ন
আবুল কাশেম- সিলেট জেলা প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে আগামী ১৭ই জুলাই অনুষ্ঠিতব্য সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ৫টি (অলংকারী, রামপাশা, দৌলতপুর, বিশ্বনাথ ও দেওকলস) ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সরব রয়েছেন জেলা ও উপজেলা এবং প্রবাসী বিএনপির সাবেক-বর্তমান একাধিক নেতাকর্মী।
দলীয় প্রতীক না থাকায় স্বতন্ত্রের মোড়কে উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন ৬ বিএনপি নেতা। এছাড়া সংরক্ষিত ও সাধারণ ওয়ার্ডে মহিলা মেম্বার ও মেম্বার পদে প্রতিদ্বন্দিতায় রয়েছেন পদ-পদবীধারীসহ বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী।
গত ২৫শে জুন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখের পূর্বে উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে নির্বাচনে অংশগ্রহন করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
আর কেউ সেই নির্দেশনা না মানলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেন। কিন্তু উপজেলা বিএনপির সেই নির্দেশনা উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা বিএনপির ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মুমিন কালু ছাড়া আর কেই মানেন নি।
এদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহনে উপজেলা কিংবা জেলা বিএনপির নিরবতার ফলে তৃণমূলের নেতাকর্মীসহ বিএনপির সমর্থকরা পড়েছেন বিপাকে। বাস্তবে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কোন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে কি না? নাকি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আধিপত্য গ্রহন করার জন্য ভিতরে ভিতরে নিজেদের দলের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে যাচ্ছে বিএনপি, ও্ই নিয়ে রয়েছে নানান জল্পনা-কল্পনা।
এদিকে ৫টি ইউনিয়নেই প্রচার-প্রচারণার ক্ষেত্রে বিএনপির ভোটারদের ভোট নিজেদের পক্ষে আনতে কেউ স্বতন্ত্রের মোড়কেও নিজেকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী, কেউ নিজেকে সাবেক এমপি ইলিয়াস আলীর পরিবারের সদস্যদের মনোনীত প্রার্থী, কেউ বা আবার নিজের পদ-পদবী ব্যবহারের সুযোগ নিচ্ছেন।
বিএনপির কেন্দ্রী নির্দেশনা অমান্য করে বিশ্বনাথের ৫টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দৌঁড়ে নির্বাচনী মাঠে ‘ইউনিয়ন চেয়ারম্যান’ পদে থাকা বিএনপির নেতাকর্মীরা হচ্ছেন- উপজেলার অলংকারী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা বিএনপির সহ শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি নাজমুল ইসলাম রুহেল (প্রতীক চশমা), উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি প্রবাসী আতিকুর রহমান লিটন (প্রতীক ঘোড়া), রামপাশা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা বিএনপির সহ অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ও বিশ্বনাথ পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বশির আহমদ (প্রতীক চশমা), দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক হাফিজ আরব খান (প্রতীক চশমা), বিশ্বনাথ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মুহি উদ্দীন পলাশ(প্রতীক মোটর সাইকেল), দেওকলস ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনিয়নের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল আমিন আজাদ মেম্বার (প্রতীক অটোরিক্সা)।
এব্যাপারে বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গৌছ আলী ও সাধারণ সম্পাদক লিলু মিয়া বলেন, দলের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অমান্য করে নির্বাচনে অংশগ্রহন করেছেন, দ্রুতই তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।