বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪৩ পূর্বাহ্ন
মুন্না শরীফ- মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
দুদক কর্মকর্তা সেজে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা। প্রতারণার সাথে জড়িত দুজন কে আটক করেছে মাদারীপুর ডিবি পুলিশ।
বুধবার ২৬শে এপ্রিল বিকেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মাদারীপুর জেলার পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ আলম। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার লুনদী এলাকার মৃত শামছুল হক মিয়ার ছেলে আনিসুর রহমান বাবুল ও সৈয়দ ইদ্রিস আলী মীরের ছেলে সৈয়দ আসাদুজ্জামান মীর।
মাদারীপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এই প্রেস ব্রিফিংয়ে মাসুদ আলম বলেন- সৈয়দ আসাদুজ্জামান মীর ও আনিসুর রহমান বাবুল দুর্ধর্ষ প্রতারক। তারা দুদক কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন সময় মানুষকে প্রতারিত করেছে। তাদের মূল টার্গেট ছিল সমাজের বিশিষ্ট মানুষ, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। এদের মধ্যে চক্রের সদস্য সৈয়দ আসাদুজ্জামান মীর প্রতারণার মাধ্যমে একজন ব্যক্তির কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময় আরো লোকের কাছ থেকে অর্থ নিয়েছেন। আমাদের কাছে অভিযোগ আসার পরে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ শাখা অভিযানে নামে। পরবর্তীতে প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের ধরতে সক্ষম হই।
মাসুদ আলম আরো বলেন- অবাক করা বিষয় হচ্ছে এ চক্রের আরেক সদস্য আনিসুর রহমান বাবুল যাকে আমরা গত দেড় মাস আগেও গ্রেফতার করেছিলাম। যার বিরুদ্ধে এখনো ৭ টি মামলা চলমান রয়েছে। তিনি সম্প্রতি জামিনে বের হয়ে একই প্রতারণার কাজে লিপ্ত হয়েছেন। তিনি এই চক্রের মূল হোতা সৈয়দ আসাদুজ্জামান মীরকে এই কাজে সহযোগীতা করে আদায় করা অর্থের ভাগ নিয়েছেন। যা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা একথা স্বীকার করেছেন।
এছাড়াও তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত তিনটি মোবাইল ফোন, বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরের ২২টি সিম কার্ড, প্রতারণার মাধ্যমে আদায়কৃত নগদ ৯১ হাজার ৩শ টাকা ও বিসিএস ১৯৮৫ ব্যাচের কর্মকর্তাদের মোবাইল নম্বর ও একটি পরিচিতি সম্বলিত স্মরনিকা উদ্ধার করা হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে সমাজের সকলের কাছে একটাই অনুরোধ এ ধরনের প্রতারকদের খপ্পরে না পড়ার জন্য।
এ বিষয়ে মাদারীপুর জেলা গোয়েন্দা শাখার তদন্তকারী কর্মকর্তা রায়হান সিদ্দিকী শামীম বলেন- আমরা অভিযান পরিচালনা করে চক্রের মূল হোতা সৈয়দ আসাদুজ্জামান মীর ও আনিসুর রহমান বাবুলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের সাথে এই চক্রের আরো সদস্য থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মাদারীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক এ.এইচ.এম সালাউদ্দিন বলেন- তারা নিজেদেরকে দুদক কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিতেন এবং এই প্রতারক চক্রটি মানুষকে ফাঁদে ফেলে মোবাইলে অর্থ লেনদেনের মাধ্যম নগদে টাকা নিতেন। আমরা গোয়েন্দা বিভাগ অভিযোগ পাওয়ার পরে মামলা গ্রহণ করে তাদের গ্রেফতার করি।