সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩৪ পূর্বাহ্ন
আবুল কাশেম- সিলেট জেলা প্রতিনিধিঃ
সিলেটের জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান বলেছেন, শতভাগ অবাদ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষভাবে আগামী ১৭ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বনাথ উপজেলার ৫ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। থাকবে শতভাগ নিরাপত্তার ব্যবস্থা। আপনারা (প্রার্থী) শুধু নির্বাচনের কোন বিষয় নিয়ে গুজব ছড়াবেন না।
জনগণের ভোটেই নির্বাচিত হবেন জনপ্রতিনিধি, অন্য কোন উপায়ে নির্বাচিত হওয়ার কোন সুযোগ নাই। নির্বাচনের দিন ভোট গ্রহন শেষে প্রত্যেক ভোট কেন্দ্রেই প্রদান করা হবে ওই কেন্দ্রের ফলাফল।
তিনি রবিবার ৯ই জুলাই বিকেলে সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে ‘উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন উপলক্ষে প্রতিদ্ব››
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সাথে আইন-শৃংখলা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায়’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্ণিং কর্মকর্তা গোলাম সারওয়ার।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত জাহানের সভাপতিত্বে ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসমা জাহান সরকারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ওসমানীনগর সার্কেল) আশরাফুজ্জামান, বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমান, বিশ্বনাথ প্রেস ক্লাবের সভাপতি তজম্মুল আলী রাজু, সাংবাদিক আশিক আলী।
সভায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ‘চেয়ারম্যান’ পদের প্রার্থী আব্দুল জলিল হিরন মিয়া, আবুল কালাম জুয়েল, শাহ তাজুল ইসলাম মাইকেল, ওয়াহাব আলী, ফখরুল আহমদ মতছিন, আজিজুর রহমান, এম আর টুনু তালুকদার, নাজমুল ইসলাম রুহেল, বশির আহমদ, হাফিজ আরব খান, আতিকুর রহমান লিটন, হোসাইন মোহাম্মদ আখতার ফারুক, কামাল আহমদ, মুহি উদ্দিন পলাশ, দয়াল উদ্দিন তালুকদার, ‘সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য’ পদের প্রার্থী সাজিদা খাতুন, আমিনা বেগম আনু, আঙ্গুরা বেগম, নাজমা বেগম, ‘সাধারণ সদস্য’ পদের প্রার্থী আলী আকবর মিলন, আব্দুল মুমিন মামুন, শফিক আহমদ পিয়ার, নূরুল ইসলাম নূরু, মাহতাব উদ্দিন।
মতবিনিময় সভায় নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে বক্তব্য প্রদানকালে বিশ্বনাথ ও দেওকলস ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কালো টাকা ছড়ানোর অভিযোগ আনেন ইউনিয়নের নৌকার মাঝিরা।
দৌলতপুর ইউনিয়নের নৌকার মাঝির বাড়ির সামনে গভীর রাতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা মিছিল ও শোডায়ন দেওয়ার এবং দেওকলস ও অলংকারী ইউনিয়নে অনেক প্রার্থীর ব্যানার-পোস্টার-পেস্টুন রাতের আধাঁরে কে বা কাহার ছিড়ে ফেলছে বা নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।
এদিকে সভায় বিশ্বনাথ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদের স্বতন্ত্র প্রার্থী যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মুহি উদ্দীন পলাশ (প্রতীক মোটর সাইকেল) ‘বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠ নির্বাচন সম্ভব নয় বলে’ বক্তব্য দেন। ওই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ইউনিয়নের নৌকার মাঝি আব্দুল জলিল হিরন মিয়া বলেন, বর্তমান সরকারের আমলেই সুষ্ঠ নির্বাচন হয়েছে, হবে এবং আগামীতেও হবে।
এসব অবান্তর কথা বলে নির্বাচনকে যারা প্রশ্নবিদ্ধ করছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হউক। তারা মুখে বলে এক কথা, আর কাজে করে তার উল্টো। বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে, বিএনপির নেতাকর্মীরা নিজেদের দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে কেন নির্বাচনে অংশ গ্রহন করে।
নির্বাচনে বিএনপির নেতাকর্মীর অংশগ্রহনই প্রমাণ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলেই একমাত্র সম্ভব শতভাগ অবাদ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা।
এসময় সভায় উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ৩টি পদের (চেয়ারম্যান, সংরক্ষিণ ওয়ার্ডের সদস্য ও সাধারণ সদস্য) প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা, সাংবাদিক, প্রশাসন ও আইন শৃংখলা বাহিনীর কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।