মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন
আবুল কাশেম- সিলেট জেলা প্রতিনিধিঃ
সিলেটের বিশ্বনাথে চাউলধনী হাওরের সমস্যার খাল থেকে দৌলতপুর ইউনিয়নের জগদীশপুর গ্রামের হাজী আশক আলী(৭৫) নামের বৃদ্ধের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় বিশ্বনাথ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত শুক্রবার ৩রা ফেব্রুয়ারি মামলাটি দায়ের করেন বৃদ্ধের ছেলে বাবুল মিয়া।
মামলার নাম্বার-২। মামলায় একই গ্রামের জগদীশপুরের মখলিছ আলীর ছেলে জুবেল মিয়া(৪০) ও লেবু মিয়াকে(৩৬) আসামী করা হয়েছে।
এজাহারে বাবুল মিয়া উল্লেখ করেন- গত ২৯শে জানুয়ারি দিবাগত রাত সোয়া ৩টার দিকে আমার পিতা হাজী আশক আলী তাহাজ্জুদ নামায আদায়ের লক্ষ্যে অজু করতে বাড়ির পূর্বের পুকুর ঘাটে যান। এরপর তিনি ঘরে ফিরে না আসায় বিভিন্ন স্থানে তাকে খোঁজাখুঁজি করি।
পরদিন ৩০শে জানুয়ারি দুপুর ২টার দিকে আমাদের বাড়ি থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে চাউলধনী হাওরের সমস্যার খালে তার লাশের সন্ধান পাই। লাশের কিছু অংশ কচুরিপানা ও ময়লা-আবর্জনায় ঢাকা ছিল। বিশ্বনাথ থানা পুলিশ যখন লাশ উদ্ধার করে, তখন দেখতে পাই-আমার পিতার মুখের ভেতরে কাঠের টুকরো ঢুকানো।
বাবুল মিয়া আরও উল্লেখ করেন- জুবেল মিয়া-লেবু মিয়াদের সাথে বিশ্বনাথ জিআর ১১৪/১২, ৭৯/১৩ ও ২৪/১৩সহ একাধিক দেওয়ানি এবং ফৌজদারী মামলায় আমরা জয়লাভ করেছি, তারা পরাজয় বরণ করেছে।
এছাড়াও, প্রায় ৫/৬ মাস পূর্বে তারা আমার পিতাকে বেদম মারধর করে। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, জুবেল মিয়া-লেবু মিয়ারা আমার পিতাকে হত্যা করে সমস্যার খালে ফেলে রাখে। আমার পিতার জুতো পাওয়া যায় আমাদের পুকুরঘাটে এবং তার ব্যবহৃত টর্চলাইট পাওয়া যায় লাশের সাথে।
মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী আতাউর রহমান বলেন- ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে জানা যাবে, ওই বৃদ্ধের মৃত্যুর সঠিক কারণ। আপাততঃ তদন্ত কাজ চলছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, গত ৩০শে জানুয়ারি সোমবার বিকেলে বিশ্বনাথ উপজেলার চাউলধনী হাওরের সমস্যার খাল থেকে হাজী আশক আলী(৭৫) নামে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। সে সময় ঘটনাস্থলে থাকা বিশ্বনাথ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়ে ছিলেন- ‘লাশের গায়ে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।