সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৯ অপরাহ্ন
আবুল কাশেম- সিলেট জেলা প্রতিনিধিঃ
আগামী ১৭ই জুলাই অনুষ্ঠিতব্য ‘ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে’ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মতো সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ৫ (অলংকারী, রামপাশা, দৌলতপুর, বিশ্বনাথ ও দেওকলস) ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনে ‘ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য ও সাধারণ সদস্য’ পদে প্রতিদ্বন্দিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
নির্বাচন অনুষ্ঠিতব্য উপজেলার ওই ৫ ইউনিয়নে ‘চেয়ারম্যান’ পদে ‘নৌকার মাঝি’ হতে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের তৎপরতা বেশি রয়েছে। যদিও বিএনপি সকল প্রকার নির্বাচনে অংশগ্রহন করা থেকে বিরত থাকার কারণে স্বতন্ত্রের ব্যানারে ৫ ইউনিয়নের নির্বাচনী মাঠে সরব রয়েছেন বিএনপিপন্থী প্রার্থীরা।
জাতীয় পার্টির কোন প্রার্থী নির্বাচনে সক্রিয় না থাকলেও দলীয়ভাবে ১টি ইউনিয়নে প্রার্থী দেবে জামায়াত। এছাড়া বর্তমানে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখনও অন্যান্য কোন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের তেমন কোন তৎপরতা দেখা যায়নি।
‘নৌকার মাঝি’ হতে উপজেলা আওয়ামী লীগের কাছে দলীয় ফরম ও জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন উপজেলার ৫ ইউনিয়নের ১১ জন নেতা।
তারা হলেন- উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শাহ তাজুল ইসলাম মাইকেল, রামপাশা ইউনিয়নে পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য আজিজুর রহমান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আরব শাহ, সংগঠক ফয়ছল আহমদ, দৌলতপুর ইউনিয়নে পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের একাধিক বার নির্বাচিত মেম্বার ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ওয়াহাব আলী, যুক্তরাজ্যের সুইন্ডন আওয়ামী লীগের সভাপতি সফিক মিয়া, বিশ্বনাথ ইউনিয়নে পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের একাধিক বার নির্বাচিত মেম্বার ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আব্দুল জলিল হিরণ, দেওকলস ইউনিয়নে পরিষদের সাবেক একাধিক বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ফখরুল আহমদ মতছিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম জুয়েল, প্রবাসী মোহাম্মদ এম আলী এনামুল হক।
ওই ৫ ইউনিয়নের মধ্যে আবার উপজেলার অলংকারী ও বিশ্বনাথ ইউনিয়নে একক প্রার্থীরা আবেদন করেছেন। আর রামপাশা ইউনিয়নে ৪ জন, দৌলতপুর ইউনিয়নে ২ জন ও দেওকলস ইউনিয়নে ৩ জন নেতা নৌকার মাঝি হতে ফরম ও জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন।
এদিকে ওই ৫ ইউনিয়নে ‘নৌকার মাঝি’ নির্ধারণ করতে সোমবার ৫ই জুন দুপুরে পৌরসভার নতুন বাজার এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিশেষ বর্ধিত সভা করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান।
উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহ আসাদুজ্জামান আসাদের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বিশেষ বর্ধিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান, শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ইশতিয়াক আহমদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক মজির উদ্দিন, সদস্য এএইচএম ফিরোজ আলী।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী- মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৮ই জুন, মনোনয়নপত্র বাছাই ১৯শে জুন, প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ও প্রতীক বরাদ্দ ২৫শে জুন এবং ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহন ১৭ই জুলাই অনুষ্ঠিত হবে।
এব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ জানান- নৌকার মাঝি হতে আমাদের কাছে দেশি-বিদেশি ১১ জন নেতা ফরম ও জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। আমরা সবার নামই জেলায় প্রেরণ করেছি। জেলা থেকে নামগুলো কেন্দ্রে যাওয়ার পর চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।