শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:০০ অপরাহ্ন
আব্দুর রহিম- নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার বটতলী ইউনিয়নের নারায়ন ভাতুয়া গ্রামে কোন ঘটনা ছাড়াই বাদিনী তাসলিমা বেগম ও তার ছেলে ভিকটিম ইমন হোসেনের বিরুদ্ধে মামলার ১নং আসামি লিটনের স্ত্রী রাবেয়া সুলতানা বাদী হয়ে কুমিল্লার আদালতে একটি সাজানো মামলা দায়ের করেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ওই গ্রামের প্রবাসী লিটনের বাড়ীতে বিভিন্ন সময় দিনমজুরের কাজ করে ইমন গত ১১ মে পাওনা টাকা চাইতে গেলে তাঁকে মধ্যযুগীয় কায়দায় গাছের সঙ্গে বেঁধে বেড়ধক মারধর করে মাথার চুল কেটে নোয়াখালীর সেনবাগে পেলে দেয়।এঘটনায় গত ১৮ জুন ইমনের মা বাদী হয়ে কুমিলার আদালতে একটি মামলা দায়ের করলে,আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় বাদীর ঘরে তালা মেরে ঘর থেকে বের করে দেন।
এঘটনার তিন মাস পর ১নং আসামীর স্ত্রী রাবেয়া সুলতানাকে দিয়ে একটি সাজানো নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করেন। নারায়ন ভাতুয়া গ্রামের বাসিন্দা, মনির আহাম্মদ ফরায়েজী, বাহার অনু মিয়া বলেন, এ ধরনের কোন ঘটনা ওই গ্রামে ঘটেনি মুলত তাসলিমা বেগমের ছেলেকে মারধর করার কারনে তাসলিমা আদালতে মামলা দায়ের করলে,আসামি লিটনের স্ত্রী রাবেয়া বাদী একটি মিথ্যা পাল্টা মামলা দায়ের করেন হয়রানি করার জন্য।
এ বিষয়ে মামলার বাদী তাসলিমা বেগম বলেন, আমার ছেলে ইমন কাজের পাওনা টাকা চাইতে গেলে লিটন, রহমত উল্ল্যাহ, মুন্সী, রাজু, এমরানসহ ১০-১২ মিলে গাছের সঙ্গে বেঁধে বেড়ধক মারধর করে, মাথার চুল কেটে নির্যাতন করে অচেতন অবস্থায় নোয়াখালীর সেনবাগে পেলে দেয়, খবর পেয়ে ওখান উদ্ধার করে নাঙ্গলকোট সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করি।পরে কুমিল্লা আদালতে মামলা করি, এর পর থেকে আসামিরা মামলা তুলে নিতে হুমকি ধমকি দিতেছে ঘরে তালা মেরে বাড়ি থেকে আমাদের বের করে দিছে।ওরা আমাদের নামে একটা সাজানো মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। এঘটনার বিচার চাই।
নাঙ্গলকোট থানার ওসি একে ফজলুল হক বলেন, দুটি মামলাই তদন্ত চলমান রয়েছে, সঠিক রিপোর্ট আদালতে প্রেরণ করা হবে।