রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০১ পূর্বাহ্ন
আফজাল হোসেন- দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির কারণে ৪টি মৌজার ৪টি গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামবাসীদের মাঝে কয়লাখনি কর্তৃপক্ষ চেক বিতরণ করেন। গতকাল সোমাবার সকাল সাড়ে ১১টায় হামিদপুর ইউনিয়নের পাতরাপাড়া গ্রামে ৪টি মোজার ৪টি গ্রামের মধ্যে বৈদ্যনাথপুর, শিবকৃষ্ণপুর, মথুরাপুর ও বাঁশপুকুর গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ্যদের চেক বিতরণ করেন ও সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি হিসেবে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলাম সরকার।
এ সময় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, বসতবাড়ী রক্ষা কমিটির পাতরাপাড়া গ্রামে নুর মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির প্রকৌশলী এটিএম নুরু-উজ-জামান চৌধুরী মহাব্যবস্থাপক (পিকিউই), মোহাম্মদ ছানাউল্লাহ মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন), খান মোঃ জাফর ছাদিক মহাব্যবস্থাপক মাইনিং অপারেশন, প্রকৌশলী মোঃ নজরুল হক মহাব্যবস্থাপক মার্কেটিং।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির সার্ভে টিম কমিটির ১৩ সদস্যের মধ্যে মোঃ মাসুদুর রহমান হাওলাদার আহব্বায়ক, প্রকৌশলী মোঃ আক্কাস আলী সদস্য সচিবসহ কমিটির সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। ৪টি মৌজার ৪টি গ্রামের প্রায় ১৬ শত বসতবাড়ী ফাঁটলের জন্য বাড়ীর মালিকদের নিকট ৭ কোটি ৬৯ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকার চেক প্রদান করেন।
এ বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলাম সরকারের সাথে সরাসরি কথা বললে তিনি জানান, বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকায় গত ২২/০৯/২০২৪ইং তারিখে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে না পারায় আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। তাই আজ সময় পাওয়ায় আপনাদের মাঝে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে থাকতে পেরে আমি খুশি হয়েছি।
বসতভিটা রক্ষা কমিটির সভাপতি নুর মোহাম্মাদ আবুল কালাম আজাদ জানান, আমরা আন্দোলন করে ক্ষতিগ্রস্থ বাড়িগুলি সামান্যতম ক্ষতিপূরণ পেয়েছি। কিন্তু ভবিষ্যতে এই বাড়ীঘরগুলি ধ্বংশ হয়ে গেলে আমরা কোথায় দাঁড়াব? এই এলাকায় একটি অত্যাধনিক মাইনিং সিটি তৈরি করলে সেখানে একটি পরিবেশ বান্ধব শহর গড়ে উঠবে। সেখানে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে ফাঁটাবাড়ীর টাকা নিয়ে আমাদের লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যায় করে যে বাড়ী ঘর তৈরি করা হয়েছে তার ক্ষতিপুরন না পেলে আমরা চরম ক্ষতিগ্রস্থ হব।