রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫১ অপরাহ্ন
রুহুল আমীন খন্দকার- বিশেষ প্রতিনিধিঃ
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃংখলা পরিস্থিতিকে সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব নিয়মিত ভাবে সফলতার সহিত জঙ্গী, সস্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, অস্ত্রধারী অপরাধী, ভেজাল পণ্য, ছিনতাইকারী, পর্নোগ্রাফি, প্রতারক চক্র, হ্যাকার, ছিনতাইকারী, কালোবাজারী, আন্তঃজেলা চোর চক্র’সহ মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার অদ্য ১৭ই এপ্রিল ২০২২ইং তারিখ দুপুর ১টা ৪০ ঘটিকায় রাজশাহী জেলার পুঠিয়া থানাধীন চিতল পুকুর গ্রামস্থ পাকা রাস্তার উপর অপারেশন পরিচালনা করা হয়। অপারেশন চলাকালীন ৩০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার পূর্বকআসামী- মোঃ মতিন আলী(৩০), পিতা- মোঃ মোন্তাজ আলী, সাং- মেহেরচন্ডি উত্তরপাড়া, থানা- চন্দ্রিমা, রাজশাহী মহানগর‘কে গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ- সঠিক গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৫, রাজশাহীর সিপিএসসি, মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের একটি অপারেশন দল জানতে পারে যে, রাজশাহী জেলার পুঠিয়া থানাধীন চিতল পুকুর গ্রামস্থ জনৈক সাইফুল ইসলাম এর নির্মাণাধীন পাঁকা বাড়ীর সামনে ১ জন মাদক ব্যবসায়ী মাদকদ্রব্যসহ অবস্থান করিতেছে।
বিষয়টি জানা মাত্রই ১৭/০৪/২০২২ইং তারিখ ১৩ঃ৪০ ঘটিকায় ঘটনাস্থল পৌছামাত্রই র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ০১ জন ব্যক্তি তাহার ডান হাতে থাকা ১টি পেস্ট রংয়ের শপিং ব্যাগসহ কৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সের সহায়তায় উক্ত ব্যক্তিকে ঘটনাস্থলেই আটক করতে সক্ষম হন। এ ঘটনায় আসামীর বিরুদ্ধে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া থানায় দেশের প্রচলিত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ সনের ৩৬ (১) সারণী ৮(গ) ধারার মামলা রুজু করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, উপরোক্ত ঘটনায় র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এর বিরতিহীন চলমান অভিযানে মাদকদ্রব্য হেরোইন উদ্ধার তথা মাদ্রিদ ব্যাবসায়ীকে গ্রেফতারের বিষয়টি সিপিএসসি, র্যাব-৫, রাজশাহী কতৃক ই-মেইল যোগে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই গণমাধ্যম কর্মীকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
র্যাবের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই অপরাধীদের কঠোর হুশিয়ারী দিয়ে জানানো হয় যে, দেশের সার্বিক শান্তি শৃঙ্খলা বজায়ের লক্ষ্যে অবৈধ অস্ত্র-মাদকদ্রব্য উদ্ধার থেকে শুরু করে সকল প্রকার অরাজকতাকে রুখে দিতে র্যাব বদ্ধপরিকর। এ ছাড়াও র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের জিরো টলারেন্স ঘোষণার পাশাপাশি অপরাধীদের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান গুলো চলমান রেখেছেন।