বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪১ অপরাহ্ন
আবুল কাশেম- সিলেট জেলা প্রতিনিধিঃ
কিছুটা অন্ধকারাচ্ছন্ন এলাকা হওয়ায় প্রত্যক্ষদর্শীরা প্রথমেই বুঝতে পারেননি ঘটনা। তাদের ধারণা হয়েছিলো একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়েছে প্রাইভেট কার। এতে মোটরসাইকেল আরোহীরা ছিটকে পড়ে যান। এ কারণে প্রত্যক্ষদর্শীরা এগিয়ে এসে মোটরসাইকেলটিকে উদ্ধার করেন।
আর ওই সময়েই ঘাতকরা প্রাইভেট কারের ভেতরে ঢুকে সিলেটের বিএনপি নেতা আফম কামালকে কোপায়। এদিকে-মোটরসাইকেল চলে যাওয়ার পর প্রত্যক্ষদর্শীরা দেখেন প্রাইভেট কারটি চলছে না। এ সময় তারা এগিয়ে দেখেন কারের ভেতরে গোঙাচ্ছেন আফম কামাল। তারা ধরাধরি করে কামালকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা ঘটনার সময়কাল ২ থেকে ৩ মিনিট। ওই সময়ের মধ্যে তারা বিএনপি নেতা আফম কামালকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপানো হয়। এরপর মোটরসাইকেল নিয়ে হামলাকারীরা দ্রুত চলে যায়। সোমবার দুপুরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিহত বিএনপি নেতা আফম কামালের মরদেহের ময়না তদন্ত করা হয়।
ময়না তদন্তকালে বিএনপি নেতা আফম কামালের শরীরে ২৩টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। এর মধ্যে প্রায় সবক’টি আঘাতের চিহ্নই গুরুতর। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা গেছেন বিএনপি নেতা আফম কামাল।
কামালের ময়না তদন্তকারী চিকিৎসক ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডাঃ শামসুল ইসলাম জানান- ধারালো অস্ত্রের আঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই মারা গেছেন আফম কামাল। তার শরীরের বাম পাশেই সব আঘাতের চিহ্ন। তিনি জানান- বাম হাত, বুকের বাম পাশ, বামপাশের কাধের নিচ, পায়ের উরুতে এসব আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এদিকে- দুপুরে ময়না তদন্ত শেষে আফম কামালের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট বিএনপি’র নেতারা। রোববার রাতে সিলেট নগরীর আম্বরখানা বড়বাজারে হামলা চালিয়ে খুন করা হয়েছিলো আফম কামালকে।