রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদঃ
অনলাইন ভিত্তিক গণমাধ্যম “৭১সংবাদ২৪.কম” এ প্রতিনিধি আহ্বান করা হয়েছে। আগ্রহীগণ জিবনবৃত্তান্ত পাঠাতে 71sangbad24.com@gmail.com -এ মেইল করুন
সংবাদ শিরোনামঃ
নড়াইলে পূজা উদযাপন কমিটির সাথে এসপি’র মতবিনিময় মেগা প্রজেক্টের নামে দেশটাকে শেষ করে দিয়েছে- বিএনপি মহাসচিব রাণীশংকৈলে পুষ্টি মেলার সমাপনী ও পুরষ্কার বিতরন ফুলবাড়ীতে ফাইভ স্টার ক্লাবের ৩ বছর মেয়াদি কমিটি গঠন দিনাজপুরে বন বিভাগের টেন্ডার অনিয়ম, উন্মুক্ত পূণঃ টেন্ডার দাবি রাণীশংকৈলে দিনব্যাপী পাট চাষীকে প্রশিক্ষণ শেষে বীজ ও সার বিতরণ গণতন্ত্রকে পরিবারতন্ত্র ধ্বংস করছে- নতুনধারা গণতন্ত্র ও দেশের শত্রু আ’লীগ রংপুরে মেজর হাফিজ রাণীশংকৈলে পুষ্টি মেলার উদ্বোধন নড়াইলে নামীয় ১০২ ও অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামী করে মামলা প্রেসক্লাব জলঢাকার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন র‌্যাব-১১, সিপিসি-২’র অভিযানে গাঁজা, ফেন্সিডিল ও বিয়ার’সহ আটক-২ বিভাজন সৃষ্টি করলে সব ধূলিসাৎ হবে- সারজিস আলম নওগাঁয় অবৈধ বিস্ফোরক দ্রব্যসহ বিস্ফোরক ব্যবসায়ী আটক দিনাজপুুরের ফুলবাড়ীতে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী পালন ফুলবাড়ীতে ওয়ান-ডে ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত নড়াইলে পুলিশের অভিযানে দুই সহোদর হত্যা মামলার তিনজন গ্রেফতার রংপুরের তারাগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি লক্ষ্মীপুর ভোলা বরিশাল রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ নড়াইলের নবাগত ডিসিকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান এসপি কাজী এহসানুল কবীর

ঐতিহ্যবাহী গোয়ালবাথান মুন্সীবাড়ি মসজিদ

উজ্জ্বল রায়- নড়াইল জেলা প্রতিনিধিঃ
নড়াইলে এক রাতেই নির্মিত হয় ঐতিহ্যবাহী গোয়ালবাথান মুন্সীবাড়ি মসজিদ। ৪০০ বছর আগে মোগল শাসনামলে এক রাতে নির্মাণ করা হয় নড়াইল সদর উপজেলার গোয়ালবাথান ঐতিহ্যবাহী মুন্সীবাড়ি মসজিদ। মসজিদের ছাদের ওপরে চারপাশে ছোট ছোট চারটি মিনার এবং মাঝখানে একটি বড় গম্বুজ রয়েছে। ছোট ইট আর চুন-সুড়কির গাঁথুনির মাধ্যমে নির্মাণ করা হয়েছে এ মসজিদটি।

জনশ্রুতি রয়েছে, ওই মসজিদটি জ্বীনদের দিয়ে নির্মাণকাজ করা হয় এবং ওই সময় জ্বীনরাও নামাজ আদায় করতেন। এলাকায় জনশ্রুতি আছে, মোগল শাসনামলে প্রায় ৪০০ বছর আগে একদিন এই গ্রামে এসে হঠাৎ করে বসবাস শুরু করেন মুন্সী হবৎউল্লাহ নামে এক ব্যক্তি। এর কিছু দিন পর তিনি এক রাতে ওই স্থানে এ মসজিদ এবং এর সংলগ্ন একটি পুকুর খনন করেন। সেই থেকে ওই গ্রামে আস্তে আস্তে জনবসতি শুরু হয় এবং ওই স্থানসহ আশপাশের এলাকার মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষরা ওই মসজিদে নিয়মিত নামাজ আদায় করতে থাকেন।

নড়াইল জেলায় ওই সময় অন্য কোনো মসজিদ না থাকায় জেলার বিভিন্ন এলাকার মুসলিম সম্প্রদয়ের মানুষরা নড়াইলের প্রথম মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসতেন বলেও জনশ্রুতি রয়েছে। ইতিহাস স্বাক্ষ্য দেয়, গোয়ালবাথান গ্রামের মুন্সীবাড়ির এ মসজিদটি নড়াইল জেলার সর্ব প্রথম ও প্রাচীনতম মসজিদ। ছোট ছোট ইট আর চুন সুড়কির গাঁথুনীর মাধ্যমে এ মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে। অবশ্য মুসল্লি বেড়ে যাওয়ায় ১০ বছর আগে সামনের অংশ বর্ধিত করা হয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, ওই এলাকায় কোনো মানুষের বসতি ছিল না। বাগানে ভরা ছিল এলাকাটি। মুন্সী হবৎউল্লাহই ওই গ্রামের প্রথম বাসিন্দা ছিলেস। তার বসবাস শুরুর পর কোনো এক রাতে ওই মসজিদ এবং তার সঙ্গে লাগোয়া একটি পুকুর খনন করা হয়। মসজিদটির প্রতিষ্ঠাতা মুন্সী হবৎউল্লাহর বংশধরেরা আজও গোয়ালবাথান গ্রামে বসবাস করছেন। তারাও সঠিকভাবে বলতে পারেন না কত সালে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল এ মসজিদটি। তবে মোগল শাসনামলে এবং কমপক্ষে ৪০০ বছর আগে এটি তাদের পূর্বপুরুষ মুন্সী হবৎউল্লাহ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বলে জানিয়েছেন।

এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে, ওই মসজিদটি জিনদের দিয়ে নির্মাণকাজ করা হয় এবং ওই সময় জিনরাও এ মসজিদে নামাজ আদায় করতেন। ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারক গোয়ালবাথান গ্রামের মুন্সীবাড়ির মসজিদটি আজও কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ঐতিহ্যবাহী এই মসজিদে বিভিন্ন এলাকার মুসল্লিরা নামাজ আদায় করতে আসেন। এছাড়া বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ মসজিদটি দেখার জন্য আসেন।

যশোর জেলার ভাঙ্গুরা এলাকার বাসিন্দা শাহরিয়ার হাসান বলেন, আমি গোয়ালবাথান মসজিদে এসে নামাজ পড়েছি। ৪০০ বছরের পুরোনো এই মসজিদটি দেখে খুব ভালো লেগেছে। এই মসজিদটি প্রত্মতত্ত্ব বিভাগের উদ্যোগে সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করা হলে আরো ভালো হতো।

সাব্বির হাসান নামে একজন বলেন, নড়াইলের গোয়ালবাথান মসজিদের নাম শুনেছি। কোনোদিন দেখার সৌভাগ্য হয়নি। নড়াইল জেলায় আমার নানু বাড়ি। নানু বাড়ি বেরাতে এসে আমি মসজিদটি দেখতে এসেছি। এখানে এসে নামাজ আদায় করেছি। মসজিদের গম্বুজ, নকশা ও সামনের পুকুর দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। প্রকৃতির রঙের সঙ্গে মসজিদর রঙও মিলে গেছে। সবকিছু মিলে ভীষণ ভালো লেগেছে।

গোয়ালবাথান গ্রামের বাসিন্দা সমাজ সেবক সৈয়দ সামিউল ইসলাম শরফু বলেন, গোয়ালবাথান মসজিদটি ইতিহাসের পাতায় স্থান পেয়েছে। ৪০০ বছরের পুরোনো এই মসজিদটি দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসেন মানুষ। ৪০০ বছর আগে এই এলাকায় মানুষের বসবাস তেমন ছিলো না। কিন্তু বর্তমানে জনবসতি বেড়ে যাওয়ায় মসজিদটির সবকিছু ঠিক রেখে বর্ধিত করা প্রয়োজন। ৩৬৬ বছরের পুরনো মোগল আমলের শাহ সুজা মসজিদ মসজিদটিতে ইমামের দায়িত্ব পালন করেন মসজিদের প্রতিষ্ঠাতার বংশধর ঐতিহ্যবাহী মুন্সীবাড়ির আলেম মুন্সী মাওলানা হাসমত আলী।

তিনি বলেন, গোয়ালবাথানের এই মসজিদটি আমাদের পূর্বপুরুষ মুন্সী হবৎউল্লাহ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সে কারণে মসজিদ সংরক্ষণসহ সবকিছু আমরা ও মহল্লাবাসী মিলে দেখাশোনা করি। এখানে আমি এলাকাবাসীর সম্মতিতে ইমামতি করি। আমার কাছে খুব ভালো লাগে। তবে মসজিদের উন্নয়নে সরকারের পৃষ্টপোষকতা প্রয়োজন। সরকার কিংবা সমাজের বিত্তশালীরা এগিয়ে এলে শতবর্ষের পুরোনো এই মসজিদটি ধ্বংসের করালগ্রাস থেকে সংরক্ষিত থাকবে।

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

অনলাইন ভিত্তিক 71sangbad24.com গণমাধ্যমটি

বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশনে নিবন্ধিত, (আই ডি নং-364)

বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।

আগ্রহীগণ সিভি পাঠাতে -মেইল করুনঃ info71sangbad24.com@gmail.com

©2019 copy right. All rights reserved 71sangbad24.com Desing & Developed By Hostitbd.Com