শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২১ পূর্বাহ্ন
আবুল কাশেম- সিলেট জেলা প্রতিনিধিঃ
বন্যায় অনেকটা বিরাণভূমিতে পরিণত হয়েছে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন। টানা ৯ দিন ধরে পানিবন্দি ছিলেন এই উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের লাখ লাখ মানুষ। এখনো লামাকাজী, খাজাঞ্চি, অলংকারি, রামপাশা, দৌলতপুর, দশঘর ও দেওকলস ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি ছিলেন।
গত মঙ্গলবার থেকে বন্যার পানি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করলেও রাস্তায় রেখে যাচ্ছে ক্ষত। প্রায় ৯ দিনের বন্যার পানির স্রোতে ধসে গেছে বহু বাড়িঘর, রেললাইন, সড়ক আর সেতুর এপ্রোস। ভেসে গেছে গবাদিপশু, পুকুরের মাছ ও সেই সঙ্গে প্রাণ দিতে হয়েছে ৬টি তাজা দেহ। আর বন্যার স্রোতে মায়ের কোল থেকে পানিতে ভেসে গেছে শিশু কন্যা তায়্যিবা। এখনো বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাস করছেন হাজার হাজার দুর্গত পরিবার। তবে এসব পরিবারের মানুষের কপালে একটু খাবার জুটলেও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের দিন কাটছে অনাহারে অর্ধাহারে।
জানা যায়- এবারের ভয়াল বন্যায় উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের প্রায় সব সড়কই ধসে, ভেঙে ও খাল হয়ে যাতায়াত ব্যবস্থা প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছে। ফলে জনসাধারণ চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
এছাড়াও বন্যার পানির স্রোতে নিচের মাটি সরে গিয়ে রেললাইন ঝুলে রয়েছে। খাজাঞ্চি ইউনিয়ন থেকে শুরু করে লামাকাজী ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি স্থানে রেললাইন ঝুলে আছে। ফলে শিল্পনগরী খ্যাত ছাতকের সঙ্গে সিলেটের রেল যোগাযোগ রয়েছে বিচ্ছিন্ন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক নুসরাত জাহান বলেন- এসব সমস্যা থাকলে তিনি প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের বলেছেন জানানোর জন্য। পরে তিনি এলজিইডির কাছে তথ্য জানাবেন বলে জানান।