বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২২ অপরাহ্ন
আবুল কাশেম- সিলেট জেলা প্রতিনিধিঃ
সিলেটের বিশ্বনাথে পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস। এ উপলক্ষে সোমবার আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল, মসজিদ মাদ্রাসা ও এতিমখানায় শিরনী বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ মাঠে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন পৌর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। পরে বেলা ১২টায় উপজেলা বিআরডিবি হলরুমে এক আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও শিরনী বিতরণ করা হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা এসএম নুনু মিয়া।
পৌর আওয়ামী লীগের আহবায়ক আব্দুল জলিল জালালের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক আলতাব হোসেন এবং মহব্বত আলীর যৌথ পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আহবায়ক ছয়ফুল হক চেয়ারম্যান, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক হাজী আব্দুল মতিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক নুরুল হক।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন- পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য জহুর আলী মেম্বার, মনোহর হোসেন মুন্না, সাইদুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগ নেতা আব্দুন তাহিদ, ইশতিয়াক আহমদ খান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক ফয়জুল ইসলাম জয়।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মশাহিদ আলী। কোরআন তেলাওয়াত করেন ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রহমত আলী। শুরুতেই জাতির পিতাসহ ১৫ই আগস্টের সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বাদ যোহর পৌর শহরের সবকটি মসজিদ, মাদ্রাসায় দোয়া মাহফিল ও মাদ্রাসার এতিমখানায় শিরনী বিতরণ করা হয়। এছাড়া মাইক যোগে দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচার করা হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন- ১৯৭৫ইং সালের ১৫ই আগস্ট ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে আত্মীয় স্বজনসহ ১৮ জনকে হত্যা করে। ইতিহাসে এই দিনকে কালো দিন হিসাবে চিহ্নিত করে জাতীয় শোক দিবস হিসাবে পালন করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এদেশের রাজনীতিতে জনসাধারণের প্রতিনিধিত্ব প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন। স্বাধীনতার সুফল যখন বাংলার জনগণের নিকট পৌঁছে দিচ্ছিলেন তখনই দেশী-বিদেশী চক্র সম্মিলিতভাবে গভীর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে নির্মম-বর্বরোচিত হত্যাকান্ডে দেশবাসী হতবিহবল ও কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে হারানোর শোককে শক্তিতে পরিনত করে দেশকে এগিয়ে যেতে হবে। অনুষ্ঠানে দলের বিরুদ্ধে যেকোন ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানানো হয়।