মুন্না শরীফ- মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে ভিজিএফ’র ১০ কেজি করে চালের বরাদ্দ কম আসায় প্রতিবাদসভা করেন বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা। সোমবার ২৫শে এপ্রিল সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলা পরিষদের চত্বরে তারা এ প্রতিবাদসভা করেন।

প্রতিবাদসভায় জেলা ইউপি চেয়ারম্যানদের সভাপতি সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন সেলিম বলেন- গত বছর ঈদের সময় সদরে বরাদ্দ আসে ১৯ হাজার ৭‘শ ৩৯টি দুস্থ পরিবারের জন্য। কিন্তু বছর না ঘুরতেই এই বছর ঈদ উপলক্ষে সেই বরাদ্দ এসেছে ২ হাজার ১ শত ৫২টি। যার ফলে সেই ভিজিএফের চাল গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করেছে সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানবৃন্দ। সদর উপজেলায় ইউনিয়নে গড়ে ৯০ থেকে ১৫০টি ভিজিএফের চাল বরাদ্দ এসেছে। যা গতবারের চেয়ে খুবই সামান্য।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাইনউদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি আমাদের বলেন- সরকারের জরিপ মতে মাদারীপুর জেলা ধনীর দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে থাকায় বরাদ্দ কম এসেছে। বাস্তবে আপনারা সাংবাদিকরা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে জরিপ করে দেখেন, কতজন গরীব গত ১ বছরে ধনী হয়েছে। আমাদের জানামতে ১ শতাংশ গরীব মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। তাহলে এত কম চাল কীভাবে দুঃস্থ মানুষের মধ্যে বিতরণ করব। এজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এ বছর ভিজিএফের চাল গ্রহণ করব না।

এ সময় চেয়ারম্যানদের সভাপতি আরও বলেন- জননেত্রী শেখ হাসিনা গ্রামকে শহর বানানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। গ্রামকে শহর বানাতে হলে প্রথমে মাটি দিয়ে রাস্তা তৈরি করতে হবে। কিন্তু আমাদের যে ৪০ দিনের মাটির তৈরির রাস্তার কর্মসূচী ছিল, হতদরিদ্রদের দিয়ে কাজ করানো হত তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এলজিএসপির যে টাকা বরাদ্দ আসতো তাও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কাবিখা ও টিআরের বরাদ্দ নামে মাত্র আছে।

আমরা দাবি জানাই, অতিদ্রুত এই প্রকল্পগুলো পুনরায় চালু করা হোক। নয়তো আমরা জেলার সকল চেয়ারম্যান কঠোর আন্দোলনে নামব।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান হাওলাদার, ফারুক খান, নাসিরউদ্দিন মোল্লা (টুকু), শাহ্ মোঃ রায়হান কবীর, মাহফুজুর রহমান, মোঃ ফায়েকুজ্জামান, সোহরাব হোসেন খান, মাহফুজুর রহমান লাভলু তালুকদার।