সোমবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৪৭ অপরাহ্ন
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি.
লক্ষীপুরের দশ বছর পূর্বে জমি বিক্রি করে খরিদ্দারকে বিভিন্ন মাধ্যমে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে শরীফ নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
রায়পুর উপজেলার বামনীর সাঁইচা গ্রামের ফকির বাড়ীর হাজী মনুমিয়া গং সদর উপজেলা চররমনী মোহন ইউনিয়নের চর আলী হাসান ও চররমণী মোহন মৌজায় ৪.৭৬ একর জমির মালিক থাকিয়া উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের বকশী মিয়াজি বাড়ীর মৃত রেণু মিয়ার ছেলে শাহজাহানের নিকট সাফ কবলায় বিক্রি করেন। মনু মিয়া স্থাণীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইউসুফ ছৈয়াল ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে মাপজোক করে ৪একর ৭৬ শতাংশ জমি বুঝিয়ে দেয়। তখনই জমির খরিদদার শাহজাহান সবার উপস্থিতিতে লোহার নেট দিয়ে সীমানা আউলিবেড়া দেয়। জমিতে মাটি কেটে বিভিন্ন দশ পঁনেরো লাখ টাকার ফলজ বনজ গাছ রোপন করে সাজিয়ে নেয়। সরেজমিনে গিয়ে একটা গাছও পাওয়া যায়নি।
চার পাঁচ বছর পরে হঠাৎ জমি বিক্রেতা মনু মিয়া ও তার ছেলে শরীফ গং বিভিন্ন ভাবে হয়রাণীর উদ্দেশ্য জমির মাঝ বরাবর বেড়ির সাথে সংযোগ সাঁকো দেয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে শাহজাহান বাঁধা দিতে গেলে শরীফের ইন্ধনে মনা প্রধান ও খলিলের নেতৃত্বে বারেক সর্দারের ছেলে ফজর আলী, খলিলের ছেলে রুবেল, আল আমিন ও শাহ আলমের ছেলে রাসেল ও মনা প্রধানের ছেলে শরীফ, স্বপনসহ আরও ২০ /২৫ জনের একটি দল হামলা চালায়। রাতের অন্ধকারে ভেকু দিয়ে পুকুরের মাঝ বরাবর বাঁধ দিয়ে জমিতে থাকা তিনটি পুকুর থেকে পঁনেরো বিশ লাখ টাকার মাছ লুট করে নিয়ে যায়। আউলি বেড়া, সীমানা পিলার ও বেড়ার পিলার উগড়ে পুকুরে ফেলে দিয়ে ফলজ বনজ গাছ কেটে নেয়াসহ নানা ভাবে তসরুপ করছে মনা প্রধান ও খলিল গংরা। তারা দুর্গম চরাঞ্চলে গরু চুরি মাছ চুরিসহ নানা চুরি ডাকাতি সংঘটিত করছে বলেও স্থাণীয়রা জানিয়েছেন।
বিগত বিশ বছর ধরে প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা হয়েও শরীফ গংদের নানা ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছেন শাহজাহান। শাহজাহানকে লাগাতার হুমকিধামকি দিয়ে আসছে ও চাঁদা দাবি করছে উল্লেখিত মনা গং ও খলিল গং এর ক্যাডারবাহিনী। এ ভূমিদস্যুদের অত্যাচারে চরচরাঞ্চলের নিরীহ মানুষ অতিষ্ট। এ নিয়ে শরীফকে একাধিকবার মোবাইলে কল করলেও ফোন না ধরায় বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।