শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৮ পূর্বাহ্ন
আবুল কাশেম- সিলেট জেলা প্রতিনিধিঃ
সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভা ঘোষণার দীর্ঘ প্রায় ৩ বছর পর আগামী ২রা নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। প্রথমবারের মতো নির্বাচিত পরিষদ পাচ্ছেন বিশ্বনাথ পৌরবাসী।
এ পৌরসভাটি এতোদিন প্রশাসক দিয়ে চলছিল। পৌরসভা নির্বাচনকে ঘিরে জনমনে রয়েছে নানা উদ্দিপনা। বিশ্বনাথ পৌরসভার কে হচ্ছেন প্রথম পৌরপিতা? মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার পর দীর্ঘদিন তাকিয়ে থাকা প্রার্থীরা নড়েচড়ে ওঠেছেন। এবার নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন প্রার্থীরা। এছাড়া ভোটাররাও উজ্জীবিত প্রথমবার পৌর নির্বাচনে ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করবেন।
জানা গেছে- তফসিল অনুযায়ী রিটানিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়ন দাখিলের শেষ তারিখ ৬ই অক্টোবর, রিটানিং অফিসার কর্তৃক মনোনয়নপত্র বাছাই ১০ই অক্টোবর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ই অক্টোবর এবং ২রা নভেম্বর সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) মাধ্যমে টানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার ইসির উপসচিব মোঃ আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে পুনঃতফসিলি ঘোষণা করা হয়।
এদিকে, প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত বিশ্বনাথ পৌরসভার নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান ও পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীরা নির্বাচনী তৎপরতা শুরু করেছেন। এ ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা প্রচারণা ও তৎপরতায় এগিয়ে রয়েছেন। অপরদিকে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি না এই নিয়ে রয়েছে অস্পষ্টতা। তবে একধিকপ্রার্থী অংশ নেবেন বলে মাঠ পর্যায়ে জানাগেছে।
বিশ্বনাথ পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলর পদে প্রায় শতাধিক প্রার্থীর সক্রিয় তৎপরতা দেখা যাচ্ছে। নানা প্রতিশ্রুতি নিয়ে এসব প্রার্থী অনেক আগে থেকেই ভোটারদের কাছে দোয়া চাইতে শুরু করে দিয়েছেন।
এদিকে, মেয়র পদে আওয়ামী লীগের একডজন প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। এদের মধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে উপজেলা আওয়ামী লীগের উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ, যুগ্ম সম্পাদক মকদ্দছ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আজিজ সুমন, সদস্য শেখ আজাদ, পৌর আওয়ামী লীগের আহবায়ক আব্দুল জলিল জালাল, যুগ্ম আহবায়ক আলতাব হোসেন, প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা আকদ্দছ আলী, এআর চেরাগ আলী, এমএ মজনুসহ আরও অনেকের নাম শোনা যাচ্ছে।
তবে বিএনপির কোনো প্রার্থীকে নির্বাচনী তৎপরতায় বা কোনো প্রচারণায় এখনও মাঠে দেখা না গেলেও বিএনপির মনোনয়ন বা গ্রীণ সিগন্যাল পেতে মাঠে রয়েছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি জালাল উদ্দিন, সাবেক আহবায়ক গৌছ খান, প্রবাসী বিএনপি নেতা রইছ আলী, মিছবাহ উদ্দিন, আবুল কালাম শাহ, যুক্তরাজ্য নিউহাম বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মুমিন খান মুন্না।
এছাড়াও পৌর বিএনপির আরও কয়েক জনের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে, বিএনপির প্রার্থীরা দলের সিদ্ধান্ত পেলেই নির্বাচন করবেন বলে জানাগেছে। এছাড়াও জাতীয়পাটি ও ইসলামী ঘরনার কয়েকটি দলের প্রার্থীদেরও তোড়জোড় দেখা যাচ্ছে। অপরদিকে, আরও অনেক নির্বাচনকে কেন্দ্র মেয়র ও কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে অংশ নিতে আওয়ামী লীগ বিএনপির প্রায় শতাধিক নেতা প্রবাস থেকে শীগ্রই দেশে আসছেন।
তবে, এখন অর্ধশত নেতার নাম শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ মনোনিত ও বিএনপির গ্রীণ সিগনাল পাওয়া প্রার্থীদের মাঝেই মূল লড়াই অনুষ্ঠিত হবে। আর সেই লড়াইয়ে পৌরবাসীর প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবেন বিশ্বনাথের প্রথম পৌর পিতা।
উল্লেখ্য, ২০১৯ইং সালের ২১শে অক্টোবর গঠিত হয় বিশ্বনাথ পৌরসভা। রাষ্ট্রপতির আদেশে ১৯শে ডিসেম্বর পৌর প্রশাসনের দায়িত্ব ন্যস্ত হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ওপর।