ইভিএম মেশিনের ত্রুটি ধরে দিলে ১০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কৃত করা হবে- মাদারীপুরে নির্বাচন কমিশনার

লাতিফুল সাফি
1. ২২ মে, ২০২২ / ১৯ বার পঠিত

মুন্না শরীফ- মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
নির্বাচনে ব্যবহার করা ইভিএম মেশিনের কোন ভুল, ত্রুটি যদি কেউ ধরতে পারে তার জন্যে আমাদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ১০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা প্রদান করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মোঃ আনিসুর রহমান।

এসময় তিনি বলেন- অনেকে বলে এক জায়গায় ভোট দিলে অন্য জায়গায় চলে যায়। এ ধরনের ভ্রান্ত ধারনা মানুষের মধ্য হতে দূর করতে হবে। আমাদের ইভিএম মেশিনের মত সেরা মেশিন পৃথিবীর কোথাও নেই। রাজনৈতিক প্রতিটি দলে আইটি বিশেষজ্ঞ আছে তাদেরকেও আমরা আমাদের মেশিন দেখাবো। তাদের হাতে ছেড় দিব, দেখান কোথায় ভুল আছে? আর কোন মেশিন কোথায় যাচ্ছে কেউ জানে না বলেও মন্তব্য করেন।

শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম ২০২২ইং উপলক্ষে এক মতবিনিময় সভায় নির্বাচন কমিশনার মোঃ আনিছুর রহমান এ কথা বলেন। মাদারীপুরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ঝোটন চন্দ এর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফরিদপুর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোস্তফা ফারুক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাই লাউ মারমা। সভা সঞ্চালনা করেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন আল মামুন। সভায় বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।http://www.ecs.gov.bd/

এসময় তিনি বলেন- আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক। বর্তমান কমিশনে আমরা যারা আছি সকলে জনগনের অধিকার জনগনকে প্রয়োগ করতে দিব। যত ধরনের বাধা বিপত্তি আসুক না কেন আমরা তা প্রতিহত করবো। যদি প্রতিহত করতে না পারি তা হলে বসে থাকবো না চলে যাবো।

ইভিএম প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার মোঃ আনিছুর রহমান বলেন- ইভিএম নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলে, এ জন্য আমরা আগামীতে দেশে নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলকে নিয়ে বসবো। এখানে উপজেলা, জেলা, আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসাররা আছেন আপনারা অফিসে ইভিএম রাখবেন যাতে করে মানুষ সেটা দেখতে পারে কি ভাবে ভোট প্রয়োগ করতে হয়।

মতবিনিময় সভায় নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান আরো বলেন- জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া কোন কাজ করা যাবে না। যেমন ব্যাংকে হিসাব খোলা, জমি দলিল, মোবাইলের সিম ক্রয়, পাসপোর্টসহ অনেক কাজে বাধ্যতা মূলক জাতীয় পরিচয়পত্র লাগে। এ জন্য ভোটার তালিকা হালনাগাদকে গুরুত্ব দিতে হবে। যারা ভোটার হালনাগাদের তথ্য কম্পিউটারে এন্ট্রি দিবেন তারা খুব সর্ততার সাথে মানুষের নাম ঠিকানা লিখবেন। যাতে কোন ভুল তথ্য না আসে। আগামী ১৫ই জুন মাদারীপুরের কিছু ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন হবে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ। কোন ধরনের জোর বা প্রভাব খাটানো যাবে না। নির্বাচনে যাতে কেউ কোন ধরনের প্রভাব বিস্তার না করতে পারে সে জন্য আমরা কঠোর নজরদারি রাখবো। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিনের ভোট দিনেই হবে। রাতে কোন ভোট হবে না।

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ