রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৬ অপরাহ্ন
মথি ত্রিপুরা- থানচি(বান্দরবান) প্রতিনিধিঃ
আজ ২৬শে ডিসেম্বর সোমবার দ্বিতীয় দিন সকালে ৮ ঘটিকায় সময় সারা পৃথিবী জুড়েই দেশের জেলা উপজেলা শহরের বিভিন্ন গ্রামের সারা বিশ্বের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের যীশুখ্রীষ্ট জন্মোৎসব “শুভ বড়দিন” এর উপলক্ষে বিভিন্ন গ্রামে গীর্জায় ও উপাসনালয়ে মোমবাতি ও আগরবাতি জ্বালিয়ে প্রার্থনা সভা মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
দুর্গম রুমা উপজেলা এদেন পাড়া স্হানীয় ব্যাপ্টিষ্ট চার্চের এই “শুভ বড়দিন ” যথাযথ ভাবে পালন করে। জানা যায়, ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের শিশু কিশোর যুব যুবতীরা নিজেদের পছন্দের ঐতিহাসিক পোশাক পরে চার্চের প্রবেশ করেন। গত পুরানো দু’বছরের ফেলে আসা রোগ মুক্ত বিশ্বের মহামারি কোভিড- ১৯ করোনা ভাইরাস বিভিন্ন রোগ কারণে নিয়মিত পালন করতে পারিনি।
চলতি ২০২২ইং সালে সব দুঃখ কষ্ট গ্লানি ধুয়ে মুছে নতুন বছরকে শুভেচ্ছা এবং যীশুখ্রীস্ট জন্মদিন ” শুভ বড়দিন ” ঘিরে আমরা যথাযথ ভাবে পালন করতে পেরেছি বলে জানান।
এই বিষয়ের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের স্হানীয় তরুণ তরুণীরা ধর্মীয় যাজকরা ও পাষ্টররা পবিত্র বাইবেল থেকে যীশুখ্রীষ্ট জন্ম ও “শুভ বড়দিন” বিষয়ে প্রচার করা হয়। এই সময়ে এদেন পাড়া স্থানীয় ব্যাপ্টিষ্ট চার্চের প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মিঃ সত্যরাম ত্রিপুরা; মিনিস্ট্রি পরিচালক- বিটিএবিসি।
আরও উপস্থিত ছিলেন- মিঃ মানিহা ত্রিপুরা; রুমা এরিয়া পাষ্টর, বিটিএবিসি । ডাঃ জুয়েল ত্রিপুরা-এমবিএস, মেডিকেল অফিসার, বান্দরবান সদর হাসপাতাল ,মিঃ যোশুয়া ত্রিপুরা ; পাষ্টর, এদেন পাড়া স্থানীয় ব্যাপ্টিষ্ট চার্চ। মিঃ উজ্জ্বল ত্রিপুরা; সহকারী শিক্ষক, কালা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; সভাপতি; এদেন পাড়া রেনেসাঁ ক্লাব। মিঃ লুসিয়ান ত্রিপুরা, মেম্বার , ১নং ওয়ার্ড, ৪নং গালেংগ্যা ইউপি। মিঃ ভাগ্যমনি ত্রিপুরা ; সভাপতি, এদেন পাড়া বড়দিন উদযাপন কমিটি।এবং পাড়া সকল বিশ্বাসীবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
আরও জানা যায়- গত দু‘বছর ধরে আমরা বিশ্বের মহামারি কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের কারণে এ-ই ধরনের শুভ বড়দিন নিয়মিত পালন করতে পারিনি।
এবারের আমরা এই শুভ বড়দিন পালন করতে পেরে খুবই আনন্দিত। এবং সাথে মেডিকেল টিম বিন্যামূল্য চিকিৎসা ও ঔষধ বিতরণ করা হয়। এইধরনের অনুষ্টান সামনে আরও এগিয়ে বড় ধরনের বিভিন্ন আয়োজন করতে পারবো বলে আশা করেন বিশ্বাসীবর্গরা।
প্রতিটি বছর নানা উৎসব পালন করা হবে বলে জানান। এবং যুগ যুগ ধরে নিজেদের সৌন্দর্য্যে পছন্দ ঐতিহাসিক পোশাক পরে নানা রকমের খাবার -দাবার প্রীতি ভোজ, খেলা ধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে উৎসবটি পালন করার হবে। এই উৎসবটি পাহাড়ের জনগোষ্ঠীর খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের প্রধান উৎসব হিসেবে পালন করা হয়।