বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪২ অপরাহ্ন
আবুল কাশেম- সিলেট জেলা প্রতিনিধিঃ
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজীতে ব্রিজের টোল আদায়কে কেন্দ্র করে ৬ গ্রামবাসীর মধ্যে ২ ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়েছে। রবিবার ১৬ই অক্টোবর রাত ৯টায় লামাকাজী ইউনিয়নের মির্জাগাঁও এবং একই ইউনিয়নের পাঁচগাঁও (সাঙ্গিরাই, দোকানীপাড়া, কাজিরগাঁও, খেসবপুর ও মোল্লারগাঁও গ্রামবাসী) এর মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ইটপাটকেলের আঘাতে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমান ও থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল ইসলামসহ অন্তত অর্ধ শতাধিক লোক আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন- রাজাপুর গ্রামের নজির মিয়া(২১), খেশবপুর গ্রামের ফয়ছল আহমদ(২২), এ কে এম দুলাল(৪৫), দোকানীপাড়া গ্রামের আব্দুল হক(৪০), সাঙ্গিরাই গ্রামের শাকরান মিয়া(১৯) ও কাজিরগাঁও গ্রামের শায়েস্তা মিয়া(৩৫)। অন্যান্য আহতদের নাম তাৎক্ষনিক জানা যায়নি।
প্রত্যেক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে- রবিবার রাত ৯টায় সিলেটের জালালাবাদ থানার জাঙ্গাইল গ্রামের এক সিএনজি অটোরিক্সা চালক লামাকাজী ব্রিজের টোল ফাঁকি দিয়ে চলে যেতে চাইলে তাকে টোল আদায়ে থাকা লোকজন থামিয়ে তার কাছ থেকে টোল আদায় করেন। এসময় ওই ব্যক্তির সাথে টোল আদায়কারী লোকদের বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতি হয়।
একপর্যায়ে টোল ফাঁকি দেওয়া সিএনজি চালকের পক্ষ নিয়ে মির্জাগাঁও গ্রামবাসী এবং টোল আদায়কারীদের পক্ষ নিয়ে অপর পাঁচগাঁও (সাঙ্গিরাই, দোকানীপাড়া, কাজিরগাঁও, খেসবপুর ও মোল্লারগাঁও) সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী চলে উভয় পক্ষে ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া।
পরে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) জালালাবাদ থানার পুলিশদল ও দাঙা পুলিশ গিয়ে সংঘর্ষ থামাতে বিশ্বনাথ থানা পুলিশকে সহায়তা করে। ৭ রাউন্ড টিয়ার গ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে রাত ১১টার দিকে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়।
সংঘর্ষ চলাকালে ভাঙচুর করা হয় শতাধিক দোকানপাট ও অন্তত ২০টি যানবাহন। দোকানগুলোতে লুটপাটও করা হয়। বাজারস্থ দুটি ব্যাংকেও করা হয় ভাংচুর। এসময় সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এ রিপোর্ট লেখা (রাত ১টায়) পর্যন্ত সংঘর্ষ থামলেও লামাকাজী বাজারে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। প্রায় ৩ ঘণ্টা পর সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করে পুলিশ।
বিশ্বনাথ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল ইসলাম বলেন- সংঘর্ষের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে গিয়ে ওসি স্যার ও আমিসহ থানার বেশ কয়েকজন পুলিশ আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।