রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১৪ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদঃ
অনলাইন ভিত্তিক গণমাধ্যম “৭১সংবাদ২৪.কম” এ প্রতিনিধি আহ্বান করা হয়েছে। আগ্রহীগণ জিবনবৃত্তান্ত পাঠাতে 71sangbad24.com@gmail.com -এ মেইল করুন
সংবাদ শিরোনামঃ
পীরগঞ্জে মানবকল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ সচিবলায়ের আগুন গভীর ষড়যন্ত্রের ঘটনা- রুহুল কবির রিজভী তারাগঞ্জে মাদক সেবনের দায়ে দুইজনকে দণ্ডাদেশ বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন রংপুর মহানগর শাখার সম্মেলন সম্পন্ন ধুনটে চৌকিবাড়ী ইউনিয়ন কৃষক দলের কৃষক সমাবেশ ফুলবাড়ীর পাঠকপাড়া গ্রামে পুকুর যবর দখল চেষ্টা রাণীশংকৈলে সকল ধর্মাবলম্বীদের সাথে সম্প্রীতি সমাবেশ রাণীশংকৈলে জামায়াতের পৌর সেক্রেটারীর বাবার দাফন কাজ সম্পন্ন পুঠিয়া-দূর্গাপুরের সাবেক সাংসদ ডা. মনসুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা পীরগঞ্জে সাদপন্থীদের হামলা ও হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন কুমিল্লার আমতলীতে গাঁজা’সহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার মুসল্লিদের উপর সাদ পন্থীদের হামলার প্রতিবাদে ফুলবাড়ীতে বিক্ষোভ ফুলবাড়ীতে স্মৃতিচারণমূলক আসর “এসো মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনি” জামায়াত-শিবিরকে “পুরনো শকুন” বলায় সংবাদ সম্মেলন রংপুর তা’মীরুল মিল্লাত মডেল মাদ্রাসার উদ্বোধন করেন সাঈদী পুত্র ফুলবাড়ীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ফেন্সিডিল সহ আটক-২ লক্ষ্মীপুরে শ্রমিক গণজমায়েত অনুষ্ঠিত নড়াইলে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ একজন গ্রেফতার রাণীশংকৈলে খ্রিস্টান ধর্মলম্বীদের বড়দিন পালন ধুনটে নিউ স্ট্যান্ডার্ড ফাইন্যান্স এন্ড কমার্স কো-অপারেটিভ ব্যাংক পিএলসি শাখা উদ্বোধন

যৌতুকের দাবিতে নববধূর উপর অমানুষিক নির্যাতন- 999 ফোনে পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার

মাহবুবুর রহমান জিলানী- গাজীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
বাল্যবিবাহ নারী নির্যাতন যৌতুক আইন সহ বিভিন্ন ধরনের আইনি কার্যক্রম থাকা সত্ত্বেও প্রতিনিয়ত আমাদের সমাজে যৌতুকের বলির শিকার হয়ে অনেক নারী স্বামীর সংসারে নির্যাতিতা হয়ে আসছে।

অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করে মেয়েদের সুখের কথা চিন্তা করে পরিবারের পক্ষ থেকে যৌতুক হিসেবে নগদ টাকা স্বর্ণালংকার ফার্নিচার আসবাবপত্র মেয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে পন হিসেবে মেয়ের জামাইকে দিয়ে থাকে। সমাজে এটা এক ধরনের ব্যাধি যা বর্তমান সময়ে শিক্ষিত সমাজের প্রভাবটা অনেক বেশি দেখা যায়।

এটা যেন এক ধরনের সামাজিক রীতিতে পরিণত হয়ে গেছে। বিগত এক মাস পূর্বে গাজীপুর জেলা সদর বাড়িয়া ইউনিয়ন পাকুরিয়া গ্রামের সুধীর দাসের মেয়ে মৌসিরানী দাস(১৯) এর সাথে একই ইউনিয়ন দক্ষিণ পাড়া গ্রামের নিহার দাসের ছেলে রাধা দাস(৩৮) সাথে গত ৮ই জুলাই উভয় পরিবারের সম্মতিতে ধুমধাম অনুষ্ঠান করে বরপক্ষের সাথে পন দেওয়ার চুক্তি মোতাবেক যৌতুক হিসেবে নগদ টাকা স্বর্ণালংকার আসবাবপত্র ওআনুষ্ঠানিক যাবতীয় ব্যয় বাবদ প্রায় ১১ লক্ষ টাকা খরচ করে কনের পরিবার বরের কাছে মেয়ে তুলে দেন।

বর রাধা দাস স্ত্রীকে বাসর রাতেই বলে তোমাকে তোমার বাবার বাড়ি থেকে আরও তিন লক্ষ টাকা দিতে হবে, বিষয়টি নিয়ে বাসর রাতে দুজনের মধ্যে দূরত্ব শুরু হয়। পরের দিন রাত্রে শুরু হয় মৌশিরানী দাস এর উপর নির্মম নির্যাতন, রক্ষা পায়নি সঙ্গে থাকা দিদিমা, মৌসিরানী দাস এর উপর বরের বোন ও কাকিমারা মিলে মৌসির যৌনাঙ্গে আঙ্গুল দিয়ে আঘাত করে এমনকি ছবি ধারণ করে, এক পর্যায়ে অপবাদ দেওয়া শুরু করে মৌসিরানী দাস হিজরা।

এ সময় মৌসির স্বামী রাধাদাস শ্বশুরবাড়ির লোকের কাছে ফোন করে লোকজন যাওয়ার কথা বলে। মৌসির আত্মীয়রা তার শ্বশুরবাড়িতে গেলে তাদেরকে আটক করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখাইতে থাকে।

একপর্যায়ে সেখান থেকে রক্ষা পেতে সদর থানা পুলিশ ৯৯৯ ফোনে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এই ঘটনায় মৌসির পরিবার প্রাথমিক চিকিৎসা ও শারীরিক পরীক্ষা শেষে আদালতের গত ২৮শে জুলাই মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন পিবিআইকে নির্দেশ দিলে, তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জহিরুল ইসলাম অদ্য রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তদন্ত কার্য পরিচালনা করেনি।

এ বিষয়ে মামলার বাদি মৌসীরানী দাস প্রতিবেদককে জানান আমি এ বছর এইচএসসিতে পড়াশোনা করছি। আমার পরিবার ও স্বামী রাধা দাসের উভয় পরিবারের মতামতের ভিত্তিতে বিবাহ বন্ধন হয়। আমাকে যৌতুক চেয়ে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে যে নির্যাতন করা হয়েছে আমি ন্যায়বিচার প্রার্থনা করছি।

এই ঘটনার বিষয় মামলার বিবাদী রাধাদাসের মুঠোফোনে ০১৬১ ০৫ ৮৮৯২৪ ফোন করে জানতে চাইলে তিনি তার স্ত্রী হিজড়ার বিষয়টি ইঙ্গিত করে বোঝাতে চেয়েছেন। নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করেন, স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়ি লোকজনের কাছে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানান। পুলিশ আসার কথা স্বীকার করেন।

এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে জানা যায় স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার জামাল বলেন বিষয়টি আমিও স্থানিয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় সমাধান চেষ্টা করেছিলাম। রাধা দাস তার বিয়েতে ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে এই মর্মে সমাধান করে দেওয়ার জন্য বলেছিলেন।

মেয়েটি হিজড়া প্রসঙ্গে কথা বললে উভয় পক্ষ একে অপরকে দোষারোপ করেছিলেন। তবে রাধা দাস কাজটি ভালো করেনি। উচিত ছিল মেয়েটির চিকিৎসা নিয়ে নিশ্চিত হওয়া।

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

©2019 copy right. All rights reserved 71sangbad24.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com