সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৮ অপরাহ্ন
মোঃ ছিদ্দিক- দৌলতখান(ভোলা) প্রতিনিধিঃ
ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার ঐতিহ্যবাহী এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সুকদেব মদন মোহন মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ে শিক্ষক ১২ জন শিক্ষিকা ২ জন, মোট শিক্ষার্থী ৯০০ বেশি। প্রতিষ্ঠাতা অমর চাদ পাল। ১৯২৫ইং সালে স্থাপিত তখন থেকেই ছাত্র ছাত্রীদের মানসিক বিকাশ প্রসারে ছড়াচ্ছে শিক্ষার আলো।
শিক্ষাক্রম, পাঠ্যসূচী, মূল্যালয়ন, পরিদর্শন ও তদারকি করাসহ বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, কারিগরি শিক্ষা, খেলাধুলা, বিনোদনসহ বিভিন্ন বিষয়ে ছাত্র ছাত্রীদের মানসিক বিকাশে কাজ করা হচ্ছে।
সুকদেব মদন মোহন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুল হোসেন হারুন বলেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পেরিয়ে গেলেও বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা পূর্ণাঙ্গ সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। পাঠ্যক্রম সিলেবাস, আইন এবং একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালিত হলেও শিক্ষা ব্যবস্থায় সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক- কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ব্যাপক পার্থক্য দেখা যাচ্ছে। অধ্যক্ষ থেকে কর্মচারী পর্যন্ত নামমাত্র ১ হাজার টাকা বাড়িভাড়া, ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং উৎসব ভাতা পান ২৫ শতাংশ। অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টে শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে প্রতি মাসে বেতনের ১০ শতাংশ কেটে রাখলেও ৬ শতাংশের বেশি সুবিধা এখনও দেওয়া হয় না এবং বৃদ্ধ বয়সে যথাসময়ে এ টাকা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা নেই। তাই তিনি প্রতিষ্ঠানটি সরকারি করনের জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
এছাড়া বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন- আমাদের স্কুল টি সরকারি হলে আমাদের অনেক ভালো লাগবে অন্যান্য সরকারি বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের মতো আমরাও বলতে পারবো আমরা সরকারি স্কুল পড়ি, তাই আমাদের বিদ্যালয়ে টি সরকারি করনের জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি
প্রাক্তন এক শিক্ষার্থী বলেন- ১৯২৫ সালে তৎকালীন গন্যমান্য ব্যক্তি অমর চাদ পাল এই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা। ৯৭ বছরের ইতিহাসে এই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের সফলতা ও কার্যক্রমের ব্যাপ্তি এত ব্যাপক যে তা উল্লেখ করে শেষ করার মতো নয়। দেশের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, শিক্ষাবিদ, সংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে সর্ব পর্যায়ে এই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের পদচারণা রয়েছে প্রশংসনীয় পর্যায়ে। প্রায়ই বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যেখানে অতিথি হিসেবে আসেন নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রীরা। তাদের সফলগাঁথা অনুপ্রাণিত করে তোলে হাজারো শিক্ষার্থীদের।
সবার ই ইচ্ছা থাকে সরকারি স্কুলে পড়ালেখা করার তাই আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আকুল আবেদন যেন বিদ্যালয়টি সরকারি করা হয় ।
প্রত্যাশা করি অতীতের মতো ভবিষ্যতেও সফল ও আদর্শিক নাগরিক সৃষ্টিতে স্কুলটি তার স্বকীয়তা বজায় রাখবে আর সমাজকে উপহার দেবে দেশ সেরা সন্তান যাদের জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত হবে সমগ্র দেশ আর উপকৃত হবে পুরো জাতি। সফলতার স্বর্ণমুকুট সব সময় যেন আমার প্রাণপ্রিয় স্কুলটি নিজের করে ধরে রাখতে পারে সেই প্রত্যাশায় আগামীর পথে চেয়ে আছি।