Saturday, April 27, 2024
Homeকৃষি ও অর্থনীতিপীরগঞ্জে সেচ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, রোপিত ধান মরে যাওয়ার উপক্রম

পীরগঞ্জে সেচ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, রোপিত ধান মরে যাওয়ার উপক্রম

পীরগঞ্জ উপজেলার ৮নম্বর রায়পুর ইউনিয়নের দাড়িকামারী গ্রামের খলিলুর রহমানের ভরা মৌসুমে বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করায় প্রায় ৮ একর জমির ধান শুকিয়ে মরার উপক্রোম হয়েছে। জমির মালিকরা উপজেলা বিএডিসি, উপজেলা সেচ কমিটি, উপজেলা কৃষি অফিস এবং বিদ্যুৎ অফিসে একাধিকবার গিয়েও সমাধান পায়নি। ঘটনাটি ঘটেছে রায়পুর ইউনিয়নের দ্বাড়িকামারী গ্রামে।

জানা গেছে, উক্ত গ্রামের মৃত কেরামতউল্লাহর পুত্র খলিলুর রহমান ২০২২ সালে উপজেলা সেচ কমিটির নিকট আবেদন করে একটি সেচ লাইসেন্স পায়। যার নম্বর ২৭৯২। গরীব কৃষক সে বছর লাইসেন্স পেয়েও বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে ব্যার্থ হয়। এর পরের বছর লাইসেন্স পুনরায় নবায়ন করে রংপুর শঠীবাড়ি পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি থেকে দুটি খুটি একটি ট্রান্সফরমার প্রায় দেড় লক্ষাধীক টাকা খরচ করে বিধি অনুযায়ি সংযোগ নিয়ে নিজের জমি ছাড়াও কমান্ডিং এলাকার মধ্যে ফসির উদ্দিন এর পুত্র বাদসা মিয়া, গাবুর আলীর পুত্র আশরাফুল আলম, মমতাজ আলীর পুত্র ইদ্রিস আলী, আবেদ আলীর পুত্র গোলজার রহমান সহ প্রায় ১০ জন কৃষকের জমিতে পানি সেচ দিয়ে ইরি বোরো ধান ও বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করে আসছে।

বর্তমানে রোপন করা ধানগুলো ও অন্যান্য ফসল মাঝামাঝি সময় চলে আসায় পার্শবর্তী সেচ মটোরের মালিক সরকারি দলের ক্ষমতা দেখিয়ে ইউপি সদস্য ববিতা বেগম উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট খলিলের মটরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইকবাল হাসান পীরগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ পীরগঞ্জ সাব স্ট্রেশনের ডিজিএম সাহেবকে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশ প্রদান করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা বিএডিসি সাব স্ট্রেশন সহকারী প্রকৌশলী বলেন বিধি অনুযায়ি খলিলকে লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে। পীরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম আসাদুল ইসলাম বলেন জে এল নং-৯৬, খতিয়ান নং-৪২, দাগ নং-১৩৩ এর নির্দিষ্ট স্থানে (এচঝ-২৫.৪২৩৬৭৫৮, ৮৯.২৬৪৫২১৫) বৈধ কাগজপত্র দেখেই সংযোগটি দেওয়া হয়েছে। এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইকবাল হাসান বলেন লাইসেন্সধারী খলিল তার লাইসেন্সটি বৈধ। তবে সে একটি অপকর্ম করেছে।

এ বিষয়ে রংপরের জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন “যেহেতু বোরো মৌসুমের মাঝামাঝি সময়, এ সময় সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হবে, আমাকে আপনারা একটা আবেদন দিন, বিষয়টি দেখছি”। এদিকে প্রায় মাসাধিক কাল থেকে জমিগুলোতে পানি না দেওয়ায় ধানের গাছ শুকিয়ে মরে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এলাকার জনপ্রতিনীধি রাজনৌতিক দলের নেত্রিবৃন্দ সুসিল সমাজ যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট যত দ্রæত সম্ভব সংযোগটি দেওয়া আহবান জানান।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments