Friday, April 19, 2024
Homeকৃষি ও অর্থনীতিকিশোরগঞ্জে যমুনেশ্বরীর বালুচরের চিনাবাদামে স্বপ্ন বুনছেন কৃষক

কিশোরগঞ্জে যমুনেশ্বরীর বালুচরের চিনাবাদামে স্বপ্ন বুনছেন কৃষক

আনোয়ার হোসেন- কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ,ঔষধি ফসল চিনাবাদাম। সোনার মোহর খ্যাত অর্থকরী এ ফসলের বাণিজ্যিকভাবে এই প্রথম চাষ হচ্ছে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে। এ চাষাবাদে সার্বিক পরামর্শে সফলতার মুখ দেখাচ্ছেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

২০২১-২০২২ইং অর্থবছরে রাজস্ব খাতের অর্থায়নে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্লোট প্রদর্শনী’র মাধ্যমে বারি চিনাবাদাম-৮ জাতের বীজ ও সার সরবরাহের মাধ্যমে এর চাষাবাদে কৃষকরা ঘুরে দাঁড়ানো স্বপ্ন বুনছেন।রোগবালাই, উৎপাদন খরচ কম, বাজার মূল্য ভালো, বিপননে ঝামেলাবিহীন, বালুচরসহ আলু, ভুট্টা’র জমিতে সহজে চাষযোগ্য হওয়ায় লাভের মুখ দেখছেন কৃষকরা।সরেজমিনে রবিবার দেখা যায়, চাঁদখানা ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঁদখানা শাহ্ পাড়া গ্রামে’র কোলঘেঁষে বহমান যমুনেশ্বরীর নদীর বুকে জেগে ওঠা ধু-ধু বালুচরে চিনাবাদামের হাট বসেছে।

সবুজের সমারোহে বালু’র নিচে মুঠো মুঠো গুপ্তধনের আশায় উৎফুল্ল কৃষকের মন। এসময় শাহ্ পাড়া গ্রামের ফজলুর রহমান,মিরা খাতুন,যাদু মিয়া জানান,কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নুরুন্নবী ইসলামের উৎসাহে প্রথমবারের মতো আমাদের প্রত্যেককে ৩৩ শতাংশ করে চরের জমিতে বাদাম চাষে আগ্রহী করে তুলছেন।অনাবাদি, ধু-ধু বালু চরে এমন বাদাম হবে এটা অবিশ্বাস্য ব্যাপার।কম খরচে, ভাল ফলন পেয়ে অধিক লাভবান হবেন এমন প্রত্যাশা তাদের।

ভাল বাজার মূল্য পেলে আগামিতে আরো অধিক জমিতে এর চাষাবাদ করবেন। পাশাপাশি পুটিমারী ইউপি’র সাধুপাড়া গ্রামের কৃষক বীরেন্দ্র নাথ রায়, বড়ভিটা মেলাবর পাঠাকরা গ্রামের বিসাধু বর্মন তারাও ৩৩ শতাংশ করে বালু মিশ্রিত জমিতে চিনাবাদামের চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হবেন।

অল্প খরচে লাভ বেশি হওয়ায় আগামিতে অনেক কৃষক বীজ নিয়ে বাদাম চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে তারা জানান। কৃষি অফিস জানায়,চিনাবাদামে চর্বি বা স্নেহ জাতীয় পদার্থ রয়েছে, যা কোলেস্টেরল কমায়। এ ছাড়া এতে বিভিন্ন ভিটামিন জাতীয় পদার্থ যেমন থায়ামিন, রিবোফ্লোবিন, নিয়াসিন, প্যানটোথেনিক অ্যাসিড, ভিটামিন বি-৬ ও ফোলেট রয়েছে প্রচুর পরিমাণে।

যা মানুষে দুরারোগ্য ক্যান্সার, রক্তস্বল্পতা, ডায়াবেটিস, জয়েন্ট এবং পিঠে ব্যাথার মত রোগ নিরাময়ে কাজ করে।

উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান বলেন- অনাবাদি নদী’র বালুচরে বীজ, সার দিয়ে বাদাম চাষে কৃষককে আগ্রহী করে তোলা হয়েছে। এতে জমি বাড়ছে।পাশাপাশি কম খরচে বিঘা প্রতি ১৫০-২০০কেজি ফলন পেয়ে কৃষকরা লাভবান হবেন।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments