Wednesday, April 24, 2024
Homeরংপুর বিভাগগাইবান্ধা জেলাগাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ভিক্ষুক মজিরন বেওয়ার একটি ঘরের জন্য আকুতি

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ভিক্ষুক মজিরন বেওয়ার একটি ঘরের জন্য আকুতি

শাহরিয়ার কবির আকন্দ- গাইবান্ধা জেলন প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার পবনাপুর ইউনিয়নের ভিক্ষুক বৃদ্ধা মজিরন বেওয়া(৯০)এর একটি ঘরের জন‍্য আবেদন জানিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট।

উপজেলার পবনাপুর ইউনিয়নের বরকতপুর গ্রামের মৃত্যু শমশের আলীর স্ত্রী অসুস্থ মজিরন বেওয়া ও প্রতিবন্ধী মেয়ে ফাতেমাকে নিয়ে দীর্ঘ ৩০ বছর থেকে ভিক্ষাবৃত্তি করে খেয়ে না খেয়ে কোন রকমে দিনযাপন করে আসছেন। স্বামীর রেখে যাওয়া মাত্র দুই শতাংশ জমিতে কোনরকমে ঘর তৈরি করে বসবাস করছেন।

ঘরের টিন ফুঁটো হয়ে বৃষ্টির পানি ঘরের ভিতর পড়লে রাত্রি যাপন করা এ অসহায় দু’টি মানুষের পক্ষে অসম্ভাব হয়ে পড়ে। এমনকি ঘরে তার একটি চৌকিও নেই থাকার জন‍্য। অসহায় এ দুটি মানুষ নিদ্রা যাপন করেন মাটিতে।

পেটে ভাত নেই, ঘর ভেঙ্গে গেছে, বৃদ্ধা নিজে অসুস্থ, তার উপর একজন প্রতিবন্ধী মেয়ে ঘারের উপর চেপে আছে। এমন পরিস্থিতিতে একজন মানুষ কেমন থাকতে পারেন সেটি কারোর অজানা নয়।

বৃদ্ধা মজিরন বেওয়া বলেন- মুই আর চলাফেরা করবের পামনা বাহে। বৃষ্টি আসলেই ঘর পানি দিয়ে ভরে যায়। সুস্থ থাকা অবস্থায় বিভিন্ন হাট বাজার ও গ্রাম ঘুরে দৈনিক দেড় থেকে দুই কেজি চাল কিছু খুচরা পয়সা রোজগার করে কোন ভাবে প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে দিন কাটে। এখন বয়সের ভাড়ে আর চলাফেরা করবের পামনা।

একটি ঘরের জন্য মেম্বার-চেয়ারম‍্যানদের দাড়ে দাড়ে অনেক ঘুরছুম বাপু কেউ কোন সহযোগিতা করেনি।

স্থানীয় প্রতিবেশী জহুরুল ইসলাম জানান- এই বৃদ্ধা কাউকে টাকা পয়সা দিতে পারেনা সে জন‍্য সে ঘরও পায়না। যারা টাকা পয়সা দিতে পারে শুধু তারাই ঘর পায়।

এব‍্যাপারে পবনাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বলেন- বিষয়টি খুবই দুঃখজনক আমিও ইতিমধ্যে খোঁজখবর নিয়েছি এবং ইউনিয়নের কোন সুযোগ সুবিধা আসলে তাকে দেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান নয়ন বলেন- বিষয়টি আমার জানা ছিল না, এখন জেনেছি। যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী সময় তাকে ঘর দেওয়া হবে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments