Thursday, April 25, 2024
Homeখুলনা বিভাগবাগেরহাট জেলামোড়েলগঞ্জে জাল সনদে ২০ বছর শিক্ষকতা করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

মোড়েলগঞ্জে জাল সনদে ২০ বছর শিক্ষকতা করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

আঃ কাইউম আকন- বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিএড পাশের জাল সনদ দিয়ে ২০ বছর চাকরি করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযাগ পাওয়া গেছে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আব্দুস সবুর তালুকদার কর্তৃক বাগেরহাট জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে দেয়া অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে- উপজেলার ধানসাগর পল্লী মঙ্গল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সদ্য অবসরে যাওয়া প্রধান শিক্ষক বাবু ভবতোষ কুমার মজুমদার ১৯৮৭ইং সালের ১৯শে মার্চ ওই বিদ্যালয়ে বিএসসি শিক্ষক পদে যোগদান করেন।

২০০০ইং সালে উক্ত বিদ্যালয়ের তৎকালীন সহকারী প্রধান শিক্ষক সত্যেন্দ্রনাথ সমাদ্দার অবসরে গেলে বাবু ভবতোষ কুমার মজুমদার জালিয়াতীর আশ্রয় নিয়ে তড়িঘড়ি করে বাউবি থেকে বিএড পাশ করেছেন এমন একখানা সনদপত্র জমা দিয়ে ২০০১ইং সালের ১লা সেপ্টেম্বর সহকারী প্রধান শিক্ষক পদটি দখল করেন। পরবর্তীতে ২০০৪ইং সালের ২৬শে ডিসেম্বর একই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে প্রধান শিক্ষক হিসেবে চাকরি করে ২০০২২ইং সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারী তিনি অবসরে যান।

অনুসন্ধানে জানাগেছে, ২০০১ সালের সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে যোগদানের সময় দাখিলকৃত বাউবির বিএড পাশের ওই সনদপত্রটিতে ঘসা-মাজা করার চিহৃ থাকায় ধারণা করা হচ্ছে যে, ওই সময়ে তিনি বিএড পাশের যে সনদপত্রটি জমা দিয়ে চাকরি নিয়েছেন সেই সনদপত্রটি জাল। আর তিনি দীর্ঘ ২০ বছর যাবত বিএড পাশের জাল সনদ দিয়ে চাকরি করে অবৈধভাবে সরকারি বেতন-ভাতা আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়াও বিদ্যালয়ে চাকুরী করাকালীন সময় তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। জাল সনদ দিয়ে চাকরি করে আত্মসাতকৃত অর্থ সরকারি কোষাগারে ফেরত না দেয়া পর্যন্ত যাতে তার অবসর ভাতা ও কল্যাণ ট্রাষ্টের অর্থ উত্তোলন করতে না পারেন তার জন্য বিভাগীয় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনার সাথে সাথে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান অভিযোগকারী আব্দুস সবুর তালুকদার।

এ বিষয় জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ কামরুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে এ সংক্রান্ত কোন অভিযোগ এখনও তিনি হাতে পাননি, তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং জাল সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি করে কেউ পার পাবেনা বলেও তিনি বলেন।

অভিযোগ পেয়েছেন এবং তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানালেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। প্রধান শিক্ষক বাবু ভবতোষ কুমার মজুমদারের কাছে জানতে চাইলে, তার বিএড পাশের সনদ সঠিক বলে তিনি দাবি করেন।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments