Saturday, April 20, 2024
Homeরাজশাহী বিভাগজয়পুরহাট জেলাধর্ষণে বাধা দেওয়ায় কলেজ ছাত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় জয়পুরহাটে ২ আসামী...

ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় কলেজ ছাত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় জয়পুরহাটে ২ আসামী গ্রেফতার

রুহুল আমীন খন্দকার- বিশেষ প্রতিনিধিঃ
দেশ ও জাতির কল্যানার্থে বিরতিহীন অভিযানের মাধ্যমে মাদক, সন্ত্রাস, অস্ত্র ও জঙ্গিবাদ নির্মূলসহ দেশের সার্বিক শান্তি শৃঙ্খলা বজায়ের লক্ষ্যে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট। এই ধারাবাহিকতাকে অক্ষুণ্ণ রাখতে সারা দেশব্যাপী পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট কতৃক যথারীতি অভিযান চলমান রয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে ধর্ষণের বাধা দেওয়ায় আয়েশা ছিদ্দিকা(২২) নামের এক কলেজ ছাত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় কলেজ ছাত্রীর বড় ভাই মোস্তাক হোসেন বাদী হয়ে পাঁচবিবি থানায় মামলা করলে উপজেলার মাঝিনা এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

আজ রবিবার ৮ই মে দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা। গ্রেফতারকৃতরা হলেন পাঁচবিবি উপজেলার মাঝিনা গ্রামের শংকর মহন্তের ছেলে রনি মোহন্ত(৩০)ও একই উপজেলার আয়মাপাড়া গ্রামের খোরশেদ মন্ডলের ছেলে কামিনি জাহিদ(৩২)।

এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার (এসপি) মাছুম আহাম্মদ ভুঞা গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন- আয়েশা আক্তার পাঁচবিবি উপজেলার মাঝিনা গ্রামের মোজ্জামেল হকের মেয়ে। সে জয়পুরহাট সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী। আয়শার মা চার বছর আগে মারা যান এবং বাবা ঋণ খেলাপির দায়ে ১ বছর থেকে জেল হাজতে আছেন। বাবা-মা না থাকায় নিহত আয়েশা তার ভাই মোস্তাকের সংসারে থাকতো। তার ভাই স্ত্রী সন্তান’সহ ঈদের পরের দিন দাওয়াত খেতে শ্বশুর বাড়িতে যান।

তিনি আরও জানান- বাড়িতে কেউ না থাকায় আয়েশা পাশের বাড়ির দুই কিশোরী মেয়ে সম্পর্কে (ভাতিজি) তাদের অন্য রুমে রেখে সে পাশের রুমে ঘুমিয়ে পরে। এই সুযোগে গত শুক্রবার ৬ই মে গভীর রাতে রনি ও জাহিদ বাড়ির প্রাচীর টপকিয়ে আয়েশা রুমে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষনের চেষ্টা করে এক পর্যায়ে আয়েশা বাধা দেওয়ায় তারা নানা রকম ভয়-ভীতি দেখায়, তাতেও ব্যর্থ হয়ে তারা তার মুখে আয়েশার পড়নের পাজামা মুখে গুজে দেয় এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

সংবাদ সন্মেলনে পুলিশ সুপার (প্রশাসন) তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ফারজানা হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোসফেকুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পাঁচবিবি সার্কেল) ইশতিয়াক আলম উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলে ধর্ষণ হয়েছে কিনা তা জানা যাবে বলে জানান পুলিশ সুপার।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments